মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার জগদীশপুরে বিজেপি নেতা গোবিন্দ হাজরার বাড়ির সামনের সিসিটিভি ফুটেজে এ ছবিই ধরা পড়েছে বলে দাবি। —নিজস্ব চিত্র।
শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে বোমা ছুড়েছে বলে অভিযোদ করলেন হাওড়া সদরের বিজেপি সহ-সভাপতি গোবিন্দ হাজরা। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে লিলুয়া থানার পুলিশ।
জেলা বিজেপির অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে গোবিন্দর জগদীশপুরের বাড়ির সামনে মোটরবাইকে চড়ে দু’জন দুষ্কৃতী আসে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, গোবিন্দর বাড়ি লক্ষ্য করে তারা কিছু ছুড়ছে। গোবিন্দর দাবি, তাঁর বাড়িতে দু’টি বোমা মারা হয়েছে। যদিও সেগুলি ফাটেনি। কয়েকটি বোমা তাঁর বাড়ির সামনেও পড়েছিল। পরে বোমাগুলিতে জল ঢেলে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করেন তাঁর ঘনিষ্ঠেরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তবে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বোমাগুলি আসল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন গোবিন্দ হাজরা। অভিযোগ, তার পর থেকেই নিরাপত্তার অভাবে দীর্ঘ দিন এলাকায় ঢুকতে পারছিলেন না তিনি। আদালতের নির্দেশে গত সপ্তাহে পুলিশি প্রহরায় জগদীশপুরের বাড়িতে যান গোবিন্দ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার উপর হামলা হচ্ছে। তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশের কাছে আমার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং তৃণমূলের তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির হাওড়া সদরের সভাপতি মনমোহন ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘গোবিন্দ হাজরার উপর বার বার হামলা চালানো হচ্ছে। শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালাচ্ছে। এর পরেও পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলন করব।’’ তবে তৃণমূল যুব হাওড়া সদরের সভাপতি কৈলাশ মিশ্রের পাল্টা দাবি, ‘‘এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বিজেপির সে ভাবে কোনও অস্তিত্বই নেই। তাই তাদের আন্দোলনে কিছু যায় আসে না।’’