পার্লারগুলি পুরোপুরি বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন এর কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
বিউটি পার্লার খোলার দাবিতে রাজ্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন এর কর্মী-মালিকেরা। তাঁদের দাবি, পার্লারগুলি পুরোপুরি বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত পদক্ষেপ না করলেও বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য় সরকার।
সংক্রমণ ক্রমশ কমতে থাকায় রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। দোকান-বাজার খোলার সময়সীমা বাড়ানো ছাড়াও আংশিক সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রেস্তরাঁ, পানশালা। তবে বিউটি পার্লার বন্ধ থাকার জেরে বিপাকে পড়েছেন এর কর্মী-মালিকেরা। টিয়া দাস নামে হাওড়ার এক পার্লার-কর্মী বলেন, “বাড়িতে অসুস্থ মা-বাবা রয়েছেন। তাঁদের ওষুধ কিনতে অনেক টাকা খরচ হয়। এ অবস্থায় আমাদের কাজ না থাকায় খুব সমস্যায় পড়েছি। ধার করে সংসার চালাতে হচ্ছে।”
পার্লারগুলি খোলা হলেও সংক্রমণ রুখতে সমস্ত সরকারি বিধিনিষেধই মানা হবে বলে জানিয়েছেন জেলার একটি বিউটি পার্লারের মালিক অর্চনা মিশ্র। তিনি বলেন, “প্রথম বার লকডাউনের পর আমরা ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলাম। স্যানিটাইজার দেওয়া, পিপিই কিট এবং মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি থার্মাল গান দিয়ে কাস্টমারদের দেহের তাপমাত্রা মাপা— সবই করা হচ্ছিল। কিন্তু ফের বিধিনিষেধের সময় পার্লার বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার কয়েক হাজার মালিক ও কর্মচারী। প্রত্যেকেরই দাবি, সরকারি সমস্ত নিয়ম মানতে রাজি। শুধু পার্লার খোলার অনুমতি দেওয়া হোক।” ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর-সহ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে দাবি। রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “রোজগার বন্ধ থাকা কখনই কাম্য নয়। পার্লারের কর্মীদের প্রতি সরকারের সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু পার্লারে গেলে সরাসরি সংস্পর্শে আসা যায়। তাই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সে জন্য তা এখনও খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে নিয়ম মেনে বিউটি পার্লার খোলা নিয়ে বিবেচনা করে দেখা হবে।”