বদল: সেজে উঠেছে গড়মান্দারণ। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য চারটি কটেজ নির্মাণ শেষের পথে। বসেছে তিনটি হাইমাস্ট আলো। লক্ষ্মীজলার উপর সুদৃশ্য কাঠের সেতু হয়েছে। পর্যটক-ছাউনি নির্মাণের কাজও শেষ। শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান গোঘাটের কামারপুকর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে গড়মান্দারণ পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্যায়নের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এখনই ছুটির দিনগুলিতে অন্যবারের তুলনায় বেশি ভিড় হচ্ছে। শীতে ছবিটা আরও বদলে যাবে বলে আশ্বাস জেলা পরিষদের। তারা পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্যায়নের কাজ করছে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান জানান, আগামী ডিসেম্বর মাস নাগাদ সৌন্দর্যায়নের প্রথম দফার কাজ সম্পূর্ণ করে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে ওই পর্যটন কেন্দ্রকে। সভাধিপতি বলেন, ‘‘এ বার শীতে পর্যটকদের গড়মান্দারণ বিশেষ আকর্যণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বাকি কাজগুলি ডিসেম্বরেই শেষ করার চেষ্টা চলছে। পরে ধাপে ধাপে রোপওয়ে, জীব বৈচিত্র পার্ক ইত্যাদি নানা প্রকল্পের পরিকল্পনা হয়েছে।”
এলাকাবাসীর তরফে বেহাল পড়ে থাকা ওই পর্যটন কেন্দ্র সাজানোর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। কয়েক দফা পরিদর্শনের পরে গত বছরের শেষ দিকে সেই কাজ শুরু হয় জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। প্রথম দফার কাজে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। এখন যে সব কাজ চলছে, তার মধ্যে রয়েছে— কেন্দ্রের মূল ফটক থেকে প্রায় ২০০ একর এলাকায় রাস্তা নির্মাণ, আরও বেশি হাইমাস্ট আলো বসানো, চত্বর জুড়ে সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি। এ ছাড়া, মূল ফটক, টিকিট কাউন্টার এবং অফিসঘর সংস্কার। পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকে থাকা কিছু ব্যক্তি-মালিকানার জমি পৃথক করে প্রাচীর দেওয়াও চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার মহাজ্যোতি বিশ্বাস।