ত্রিবেণী স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
টানা লকডাউন চলেছে এক সময়। তখন রেল ব্যান্ডেল স্টেশনে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের কাজ করল না কেন? ব্যান্ডেল স্টেশন বন্ধে ভোগান্তির মুখে পড়ে এই প্রশ্নই তুলছেন যাত্রীদের একাংশ।শনিবার দুর্ভোগের যে চেহারা দেখা গিয়েছিল, রবিবারও তা অব্যাহত রয়েছে।২৭ মে থেকে তিন দিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে ব্যান্ডেল স্টেশন। এর ফলে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কিছু স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে চুঁচুড়া-হাওড়া, খন্যান-বর্ধমান এবং ত্রিবেণী-কাটোয়া রুটে। কিন্তু তাতেও নয়া বিপত্তি দেখা দিয়েছে। রবিবার সকালে ত্রিবেণী-কাটোয়া রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নবদ্বীপে ফুট ওভারব্রিজের কাজ হওয়ার জন্য কাটোয়া লাইনে ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। যার ফলে ত্রিবেণী থেকে ১১ জোড়া ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও, রবিবার পাঁচ জোড়া বাতিল করা হয়। তার জেরে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
রবিবার সকালে কাটোয়া যাওয়ার উদ্দেশে ত্রিবেণী উপস্থিত হয়েছিলেন তারকেশ্বরের ব্যবসায়ী মহম্মদ সাদ্দাম। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তারকেশ্বর থেকে কাটোয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। সে জন্য পুরো ভাড়া দিয়েছি। কিন্তু চুঁচুড়া থেকে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে অটোয় চড়ে ত্রিবেণী এসে এখন শুনছি, ট্রেন বন্ধ। যাতায়াত করব কী করে?’’ গলায় এমনই ক্ষোভের সুর ত্রিবেণী স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা আরও এক যাত্রীর। তিনি বলেই দিলেন, ‘‘লকডাউনের সময় এই কাজটা করলে তো সমস্যাই হত না। কিন্তু তখন রেলের আধিকারিকরা সকলে ছুটিতে ছিলেন। তখন এই কাজটা করতে পারেননি। আর এখন যাত্রীদের হেনস্থা করা হচ্ছে।’’
অন্য দিকে দিন তিনেকের জন্য যেন জংশন স্টেশনের চেহারা নিয়েছে চুঁচুড়া। মফস্সলের এই শহরে যাত্রীদের ভিড় এক ধাক্কায় কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। রবিবার চুঁচুড়া স্টেশনে কমলিকা দে নামে এক যাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘‘এত দিন লকডাউন ছিল তখন কাজ করেনি রেল। এখন এত ভাড়া দিয়ে কি সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াত করবেন?’’