এভাবেই বৈদ্যবাটী পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবংশীপাড়ায় গঙ্গার ভাঙন রোধে বাঁশ পুঁতে আধলা ইট পাইলিংয়ের কাজ শুরু করল পুরসভা। নিজস্ব চিত্র।
সামনে ভরা কোটাল। তার আগে বৈদ্যবাটী পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবংশীপাড়ায় গঙ্গার ভাঙন ঠেকাতে বাঁশ পুঁতে আধলা ইট ফেলার কাজ শুরু করলেন পুর কর্তৃপক্ষ। তবে অস্থায়ী এই কাজে কতটা ফল মিলবে, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে সংশয় রয়েছে। পুরসভা বা সেচ দফতরের কর্তারা মনে করছেন,এই কাজে সাময়িক ভাবে ভাঙন আটকানো যাবে।
গত কয়েক সপ্তাহে জোয়ারের চাপে রাজবংশীপাড়া ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে গঙ্গার পাড় ভাঙতে শুরু করে। বড় বড় গাছ তলিয়ে যায়। বাড়িঘর কার্যত গঙ্গার কিনারে ঠেকেছে। কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। অভিযোগ, সেচ দফতর বা কেএমডিএ কোনও পদক্ষেপ না করায় আতঙ্ক দিন কাটছে ৭-৮টি পরিবারের।
পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এলাকাবাসীর দুশ্চিন্তা কাটাতেই অস্থায়ী ভাবে পাড় বাঁধানো হচ্ছে। মঙ্গলবার কাজ সরেজমিনে দেখেন পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো। তিনি জানান, স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁইনের সঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কাছে যাবেন ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থার আর্জি নিয়ে। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘আপাতত যে কাজ আমরা করছি, তাতে সাময়িক ভাবে ভাঙন আটকানো সম্ভব হবে। এই কাজে প্রায় ছ’লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। পরে সরকারি তরফে পাকাপাকি কাজ করা হবে।’’
জেলা সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুরসভা যে কাজ করছে, তা কিছুটা হলেও ভাঙন রোধে সক্ষম হবে। ওখানে ভাঙন রোধে পাকাপাকি ব্যবস্থার জন্য বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির কাজ চলছে।দ্রুত তা শেষ করে জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হবে, রাজ্যের অনুমোদনের জন্য।’’
রাজবংশীপাড়ায় প্রায় দু’শো মৎস্যজীবী পরিবারের বাস। তাঁদের অভিযোগ, রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নৌকো নিয়ে বেরোতে হচ্ছে। আশপাশের বহু মানুষ এই ঘাট ব্যবহার করেন। সমস্যায় তাঁরাও। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেহিসাবি ভাবে গঙ্গা থেকে বালি তোলার ফলে গত ৪-৫ বছর ধরে ভাঙন চলছে।