মির্জাপুরের বাসিন্দার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। —নিজস্ব চিত্র।
মাত্র ৩ দিন আগে হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ ১১ লক্ষ টাকা। শুক্রবার আবার উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা। এ বার টাকার উৎস জানতে আটক করা হল উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দাকে।
রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৯ নম্বর প্লাটফর্মের শেষ প্রান্তে এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সেই সময় কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওই ব্যক্তির ব্যাগে তল্লাশি চালালে ৩৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তির নাম রাজকুমার বিন্দ বলে জানিয়েছে আরপিএফ।
৩৯ বছর বয়সি রাজকুমার বিকানের হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস চেপে হাওড়ায় এসেছিলেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে। আরপিএফ জওয়ানরা তাঁকে টাকার উৎস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলে খবর। এমনকি, ওই টাকার সাপেক্ষে কোনও প্রমাণপত্র দেখাতে না পারায় আরপিএফ সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্ত করে। খবর দেওয়া হয় কলকাতার আয়কর দফতরের অফিসে। সেখানকার আধিকারিকরা এলে তাঁদের হাতে টাকা সমস্ত টাকা তুলে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও হাওড়া স্টেশন থেকে বেশ কয়েক বার প্রচুর পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। গত মঙ্গলবারই হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার ১১ লাখ নগদ-সহ ৩ লাখ টাকার সোনা। ঝাড়খণ্ডের এক বাসিন্দার ব্যাগ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং সোনা পাওয়া যায়। তার আগে গত জুলাই মাসে হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়িতে বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়। পাঁচলা-রানিহাটি মোড়ে কংগ্রেস বিধায়কের বোর্ড লাগানো গাড়ি আটকানো হয়। রাজেশ কচ্ছপ, নমন বিক্সল কোঙারি এবং ইরফান আনসারি নামে তিন বিধায়কে বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত হয়।