আনিস খানের বাবা সালেম খান। ফাইল চিত্র।
ভোটপর্ব মিটতেই বাড়িতে হামলার অভিযোগ তুলল হাওড়ার নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের পরিবার। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন আনিসের দাদা সামসুদ্দিন খান। শাসকদলের বিরুদ্ধে ‘ছাপ্পা’র অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভোটের দিন, শনিবার এলাকায় গোলমালও হয়। তার পর রবিবার আনিসের পরিবার দাবি করল, তাদের আত্মীয়ের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যার জেরে বাড়ির কয়েক জন সদস্য আতঙ্কে ঘরছাড়াও হয়েছেন। শাসকদল অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
গত বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি আনিসকে তাঁর বাড়িতে খুনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনার পর এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আনিসের বাবা সালেম খানের সিবিআই তদন্তের দাবি মেটেনি। আনিসের মৃত্যুর বিচার চাইতে এ বার জনতার দরবারে গিয়েছিলেন আনিসের বাবা, দাদা। কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির ৪১ নম্বর আসনে প্রার্থী হন সামসুদ্দিন। ভোটের আগেই সালেম দাবি করেছিলেন, সামসুদ্দিন প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁদের হুমকি দিয়ে আসছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছিল আনিসের পরিবার। ভোটের পর তাদের দাবি, রবিবার সকালে তৃণমূলের গুন্ডারা আত্মীয়দের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুর করা হয় এলাকার আট-১০টি বাড়িও।
সামসুদ্দিনের অভিযোগ, শনিবার দুপুর ৩টের পর ছাপ্পা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে স্থানীয়দের গোলমাল বাধে। সেই ঘটনায় এক জন তৃণমূল কর্মী জখমও হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর পর রবিবার সকালে জনাপঞ্চাশেক তৃণমূল কর্মী তাঁদের আত্মীয়ের বাড়িতে হামলা চালান। সামসুদ্দিন বলেন, ‘‘আমার আত্মীয়ের বাড়ির সামনের ক্লাবের সিসিটিভি ভাঙচুর করা হয়। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। বাড়ির অনেকেই ঘরছাড়া।’’ বিষয়টি আমতা থানাতেও জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারিও।
শাসক তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চায়নি। তৃণমূলের হাওড়া গ্রামীণের সভাপতি তথা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘আনিসের পরিবার মিথ্যা অভিযোগ করছে। ওখানে কোথাও কেউ ভাঙচুর করেনি। নির্বাচনে হেরে যাবে বলেই এই সব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’