দার্জিলিঙে তুষারপাত। ছবি: পিটিআই।
নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবার চেনা ছন্দে শীত। বুধবার দার্জিলিঙে ঠান্ডা পড়েছে জমিয়ে। সান্দাকফুতে শুরু হয়েছে তুষারপাত। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বুধবার থেকে রাতের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। পর্যটকদের ভিড়ে বছরের প্রথম থেকেই দার্জিলিং জমজমাট।
মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী। বৃহস্পতিবার থেকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথাও ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি হয়নি। বস্তুত, ডিসেম্বরের শেষের দিকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভারী ঠান্ডা পড়লেও নতুন বছরে গোড়াতে তাপমাত্রার বিস্তর ওঠানামা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিনেই উত্তরবঙ্গে চেনা ছন্দে শীত।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার, ৮ জানুয়ারি থেকে আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে সকালের দিকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে শৈলশহরে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে রাতের দিকে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি নামতে পারে।
অন্য দিকে, বরফের চাদরে ঢেকেছে পূর্ব এবং উত্তর সিকিম। মঙ্গলবার এবং বুধবার তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিঙের কিছু অংশে। তার প্রভাব পড়েছে সমতলের আবহাওয়ায়। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরের সমস্ত জেলায় একধাক্কায় কমে গিয়েছে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা।
সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ডক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘গতকাল (মঙ্গলবার) থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। সিকিম-সহ দার্জিলিঙের সান্দাকফু-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় শিলাবৃষ্টি-সহ তুষারপাত হয়েছে। বুধবারও সান্দাকফু-সহ সিকিমে তুষারপাত হয়েছে। সমতলে ঠান্ডা আরও বাড়ছে। রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে। কুয়াশা থাকবে। আগামী ১১ এবং ১২ জানুয়ারি আবার তুষারপাত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে।’’