আনিস খান। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
খুনের হুমকি দিয়ে ফোন করার অভিযোগ করলেন মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের দাদা। একই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে পিছু না হঠলে পুরো পরিবার-কে ‘দুনিয়া থেকে সরিয়ে’ দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। রাত ১ টা ৪ মিনিটে একটি অজ্ঞাত পরিচয় নম্বর থেকে এই হুমকি ফোনটি আসে বলে জানান মৃত আনিসের দাদা সাবির খান। আনিস মৃত্যু-রহস্যে এখনও অধরা অভিযুক্তরা। তার মধ্যেই আবার এই হুমকি ফোন পাওয়ায় তাঁদের পরিবার যথেষ্ট আতঙ্কিত বলেও সাবির জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আনিস মৃত্যু-রহস্যে এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় আনিসের পরিবারের সদস্যরা। রাজ্য সরকারের তদন্ত নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন আনিসের বাবা। আনিসের মৃত্যুর তদন্ত প্রথমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাওড়া গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ সরকারের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যের সিট-এ রয়েছেন রাজ্যের এডিজি (সিআইডি) জ্ঞানবন্ত সিংহ, ডিআইজি (সিআইডি) মিরাজ খালিদ এবং ব্যারাকপুরের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। ১৫ দিনের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরো বিষয়টি খতিয়েও দেখতে শুরু করেছে সিট। সিট সদস্যরা মঙ্গলবার দু’বার আনিসের বাড়ি যান এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। সিট সদস্যরা আনিসের বাবার কাছে তাঁর ফোন চাইলে, তা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। আদালত বা সিবিআই-এর হাতেই তিনি এই ফোন তুলে দেবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
এ ছাড়াও ‘তদন্তে স্বচ্ছতার স্বার্থে’ মঙ্গলবার সকালে সাসপেন্ড করা হয় হাওড়ার আমতা থানার দুই পুলিশকর্মীকে। পাশাপাশি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এক জন হোমগার্ডকে। এই তিন জনেরই সে রাতে ডিউটি ছিল। তিন জনেই আমতা থানা এলাকায় টহলের দায়িত্বে ছিলেন। তিন জনই শুক্রবার রাতে থানার খাতায় সই করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন। ওই রাতে আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ায় বাড়ির তিন তলার ‘ছাদ থেকে পড়ে’ মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিসের। তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়, পুলিশের পোশাকে চার জন সে রাতে বাড়িতে ঢোকেন। আনিসকে তাঁরাই ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।