Durgapur Murder

বৌদির গলায় বঁটির কোপ! রক্তে ভেসে গেল ঘর, দুর্গাপুরে পালাতে গিয়ে ধরা পড়লেন দেওর

বৌদিকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ দেওরের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে তাঁদের মধ্যে কোনও কারণে অশান্তি হয়। তখনই বৌদির গলায় বঁটির কোপ বসিয়ে দেন অভিযুক্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩০
Share:

(বাঁ দিকে) বৌদিকে খুনে অভিযুক্ত দেওর বিষ্ণু রুইদাস। মৃত মহিলা বিন্দু রুইদাস (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

বৌদিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দেওরকে। বটি দিয়ে কুপিয়ে বৌদিকে তিনি খুন করেছেন বলে অভিযোগ। খুনের পর বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বটির আঘাতে আরও এক জন জখম হয়েছেন।

Advertisement

ঘটনাটি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার অন্তর্গত কালিগঞ্জ এলাকার। মৃতের নাম বিন্দু রুইদাস (৩২)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে দেওর বিষ্ণু রুইদাসের সঙ্গে তাঁর অশান্তি শুরু হয়েছিল। বচসা চলাকালীনই বঁটি নিয়ে আসেন বিষ্ণু। বৌদির গলায় সটান কোপ বসিয়ে দেন। তার পর তাঁর শরীরের একাধিক অংশে বঁটি দিয়ে আঘাত করেন। রক্তে ভেসে যায় সারা ঘর।

বিষ্ণুকে বাধা দিতে এগিয়ে এসেছিলেন বিন্দুর শাশুড়ি নিরুপমা রুইদাস। কিন্তু বিষ্ণু তাঁকেও আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। ধারালো বটির আঘাতে তিনিও জখম হন। চিৎকার করে পাড়ার লোক জড়ো করেন নিরুপমা। সেই সময়েই সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। খবর দেওয়া হয় নিউ টাউনশিপ থানায়।

Advertisement

এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘চিৎকার শুনে আমি গিয়েছিলাম। দেখলাম, মাছ কাটার মতো বঁটি দিয়ে খপ খপ করে কোপাচ্ছে। আমি আটকাতে গেলে আমাকেও মারত। বৌদিকেও মেরেছে। মাকেও মেরেছে।’’

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় বিন্দুর দেহ। আহত নিরুপমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জেরে এই মৃত্যু বলে পুলিশের অনুমান। তবে কী নিয়ে অশান্তি, কেন খুন, এখনও স্পষ্ট হয়নি। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের স্বভাব ভাল ছিল না। এলাকার মানুষ এবং পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সে খারাপ ব্যবহার করত। এমনকি, এক ভাইজিকে হেনস্থার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায় বলেন, ‘‘অভিযুক্ত বিষ্ণু রুইদাসকে আমরা গ্রেফতার করেছি। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ফরেন্সিক দলও এই ঘটনার তদন্ত করবে। অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement