বাড়ির সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
পুরভোটের মুখে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির বাঁশবেড়িয়ায়। ওই পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরিজিতা শীলের অভিযোগ, নির্বাচনে যাতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারেন সে জন্যই গুলি চালিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে এবং তাঁর স্বামী সত্যরঞ্জন ওরফে সোনা শীলকে ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। ঘটনাচক্রে বাঁশবেড়িয়ার পুর প্রশাসক আদিত্য নিয়োগীর উপর গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত সোনা বর্তমানে জামিনে মুক্ত। যদিও অরিজিতার অভিযোগকে ‘নাটক’ বলছে তৃণমূল।
অরিজিতার অভিযোগ, শনিবার রাতে তাঁর বাড়ির সামনে দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। অরিজিতা বলেন, ‘‘শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে দুই রাউন্ড গুলি চালিয়ে যায়। এর আগে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে আমার স্বামী এলাকায় ঢুকতে না পারেন। এ ভাবে আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে কেন আমি বুঝতে পারছি না। আমি কি তৃণমূলের বাইরে না ভিতরে? আমি ২০১০ সাল থেকে এই দলটা করে আসছি। দু’বার কাউন্সিলর হয়েছি এবং পাঁচ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। পরিকল্পনা মাফিক এই কাজ করা হচ্ছে যাতে আমার স্বামী না ফিরতে পারেন। এ নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ জানাব।’’ তবে কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও অভিযোগ করেননি অরিজিতা।
গত ১২ মে বাঁশবেড়িয়ার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর ওপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় অভিযোগ ওঠে অরিজিতার স্বামীর বিরুদ্ধে। তার পর তৃণমূল নেতৃত্ব অরিজিতার পরিবর্তে আদিত্যকে বাঁশবেড়িয়ার পুর প্রশাসক নিয়োগ করে। বর্তমানে জামিনে মুক্ত সোনা। তবে তিনি এলাকা ছাড়া। স্থানীয় বিজেপি নেতা স্বপন পালের অভিযোগ, ‘‘নিজেরাই গুলি চালিয়েছে। বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও প্রবল। নিজেদের মধ্যেই এ সব লড়াই চলছে।’’
অরিজিতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জোড়াফুল শিবিরের নেতারা। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রশাসক সেই আদিত্য অবশ্য বলছেন, ‘‘ওঁরা চুরি করে ধরা পড়ে গিয়েছেন। তাই এ সব নাটক করছেন। পুরসভার তরফে বিশেষ ভাবে অডিটও করা হচ্ছে। উনি সরকারি জমি দখল করেছেন। এ জন্য প্রতি দিন রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। ওঁরা যা করেছেন মানুষই তার জবাব দেবে।’’