বিডিও-র বদলির দাবিতে বিক্ষোভ আরামবাগে। নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার যে বিডিও-র বদলির বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমেছিলেন গ্রামবাসীরা, শুক্রবার সেই বিডিও-র বদলির দাবিতে জমায়েত করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সরকারি নির্দেশ মনে গোঘাট-২ ব্লকের বিডিও অভিজিৎ হালদারের বদলি কার্যকর করতে হবে।
গোঘাটের তৃণমূল নেতা চঞ্চল রায় এবং নেতৃত্বে শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক শুক্রবার আরামবাগ মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা অবিলম্বে অভিজিৎকে বদলির জন্য বৃহস্পতিবার জারি হওয়া সরকারি নির্দেশ কার্যকরের দাবি তোলেন। আরামবাগের মহকুমা শাসক হাসিন জাহেরা রিজভির সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে স্মারকলিপিও দেন চঞ্চল-সহ তৃণমূল নেতারা।
বৃহস্পতিবার অভিজিতের বদলির খবর শোনার পরেই গোঘাট-২ ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দা হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, বিডিও ভালো এবং কাজের মানুষ। তাঁকে কোনও মতেই বদলি করা যাবে না। সেই বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ শামিল হয়েছিলেন বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর।
গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি শুক্রবার অভিযোগ করেন, অভিজিৎ তাঁর বদলি আটকাতে গ্রামবাসীদের একাংশকে কাজে লাগিয়ে বিক্ষোভের আয়োজন করিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বিডিও দূর্নীতিগ্রস্ত। কোনও জনমুখী কাজ করেননি। দুয়ারে সরকারের কাজ খাতায়-কলমে দেখিয়েছেন। বাস্তবে কিছুই করেননি। বার্ধক্য ভাতা থেকে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে গিয়েছে তাঁর সময়ে। বিডিও পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে বোঝাপড়া করে সভাপতিকে অন্ধকারে রেখে কাজ করেন। আমরা চাই, সরকারি নির্দেশ মেনে ওঁকে বদলি করা হোক।’’
বিডিও বদলি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আলোচনায় চলে আসা প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘‘যাঁরা বিডিও-র বদলির বিরোধিতা করেছেন, তাদের পিছন থেকে কেউ মদত দিতে পারেন। সামনে কাউকে দেখতে পাইনি। আমরা চাই কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হোক।’’