বিক্ষোভ: এক কিশোরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম। শুক্রবার, হাওড়া হাসপাতাল চত্বরে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
গাফিলতির জেরে এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়া জেলা হাসপাতালে। মৃতার শতাধিক পড়শি ও পরিজনেরা জোর করে তেতলার মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সদের হেনস্থার পাশাপাশি গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। এসিপি (সেন্ট্রাল) মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার সেখানে ভর্তি হয়েছিল বাঁকড়ার বাসিন্দা, ১৪ বছরের সানা পরভিন। কর্তৃপক্ষের দাবি, ভর্তির পরেই শুরু হয় চিকিৎসা। এক্স-রে, সিটি স্ক্যান-সহ নানা পরীক্ষায় ধরা পড়ে, সে ‘মেনিঙ্গোএনসেফ্যালাইটিস’-এ আক্রান্ত। তার বুকেও জল জমেছিল। শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয় সানার।
এই মৃত্যুর খবর পেতেই গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তার পরিবারের লোকজন। বাঁকড়া থেকে লোকজন ডেকে আনা হয়। শ’দেড়েক মানুষ যে ওয়ার্ডে সানা ভর্তি ছিল, সেখানে ঢুকে পড়েন। তাঁরা কর্তব্যরত নার্স এবং জুনিয়র ডাক্তারদের হেনস্থা ও গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ।
মৃতার দিদি গুলশন বেগম বলেন, ‘‘বোন সুস্থই ছিল। আজ সকালে মরচে পড়া সুচ দিয়ে স্যালাইন দেওয়ার পরেই ও মারা যায়। ওই চিকিৎসকই মৃত্যুর জন্য দায়ী। ওঁর শাস্তি চাই।’’ হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ মিথ্যা। ভর্তির পরে একাধিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে, মেয়েটির মেনিঙ্গোএনসেফ্যালাইটিস হয়েছে। বুকে জলও জমেছিল। ভর্তির পরেই চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। ওকে আনাই হয় চরম সঙ্কটজনক অবস্থায়।’’