গড়চুমুক চিড়িয়াখানা।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে ক’দিন ধরেই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছিল প্রশাসন। কিন্তু গড়চুমুক চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের কী হবে? তাদের জন্যেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে রয়েছে হরিণ, বাঘরোল, গন্ধগোকুল, সজারু, কুমির, কচ্ছপ ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। তাদের নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু গাছের ডালপালা কেটে দেওয়া হয়। পশুপাখিদের ঘরগুলি শক্ত করে বাঁধা হয়। জল নিকাশির ব্যবস্থা ঠিক করা হয়। এ ছাড়া, অস্থায়ী বেশ কয়েকটি ঘর তৈরিও করা হয়। যাতে প্রয়োজনে পশুপাখিরা সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। হরিণ প্রকল্পের ভিতরে উঁচু ঢিপি তৈরি করা হয়। বৃষ্টির ফলে যদি জল জমে যায়, তা হলে হরিণেরা যাতে ওই ঢিপিতে আশ্রয় নেয়।
হাওড়া বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে চিড়িয়াখানার ক্ষতি যাতে না হয়, সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
রবিবার রাতে আছড়ে ঝড়। তার জের চলে সোমবার দুপুর পর্যন্ত। বন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রবল ঝড়ে পশুপাখিদের যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ডালপালা ভেঙে যাতে পশুপাখিরা আহত না হয়, সে দিকেও নজর রাখা হয়েছিল। ঝড়ে কোনও পশুপাখির কোনও ক্ষতি হয়নি।’’
চিড়িয়াখানার পাশেই সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য নতুন করে পার্ক তৈরি হয়েছে। হাওড়া জেলা পরিষদ সেটি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সেখানে বোটিং করার জন্য একটি পুকুর তৈরি করা হয়েছে। ঝড়ের দাপটে পুকুরের কিছুটা পাড় ভেঙে গিয়েছে। তবে, গাছপালার ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তেমন ভাবে হাওড়া জেলায় পড়েনি। গড়চুমুক পার্ক ও চিড়িয়াখানায় তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি। হাওড়া জেলা পরিষদ সব সময় নজরদারি চালিয়ে গিয়েছে।’’