পদকজয়ী আদিত্য দাস। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য স্কুল গেমসে টেবিল টেনিসে অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে সোনা জিতল হাওড়ার আন্দুলের দ্যুইলার আদিত্য দাস। সে ডোমজুড়ের মহিয়াড়ি কুন্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউশনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার সাফল্যে পরিবার-পরিজন থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সবাই খুশি। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬৮তম রাজ্য স্কুল গেমসের আসর বসেছিল সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।
আদিত্যের বাবা সঞ্জীব দাস বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তিনি জানান, সাড়ে চার বছর বয়সেই টেবিল টেনিসে ছেলের হাতেখড়ি। জাতীয় গেমসে সোনা-সহ একাধিক পদক তার দখলে রয়েছে। বুধবার ওই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদিত্য ফের অনুশীলনে নেমে পড়েছে জাতীয় গেমসের প্রস্তুতিতে। সৌমজিৎ রায়, পৌলমী ঘটকের তত্ত্বাবধানে সে অনুশীলন করছে। সামনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাও রয়েছে। আদিত্য বলে, ‘‘ছোটবেলায় দাদার খেলা দেখে টেবিল টেনিসে আগ্রহ জন্মায়। হাওড়া সেবা সঙ্ঘের প্রশিক্ষক অনন্য চট্টোপাধ্যায়ের কাছেই হাতেখড়ি।’’
বাড়ির লোকেরা জানান, কঠোর অনুশীলনের ফাঁকেই চলছে পড়াশোনাও। নিয়মিত স্কুলে যেতে না পারলেও অনলাইনে পঠনপাঠন চালিয়ে যাচ্ছে। সঞ্জীব জানান, সোম থেকে শনি নিউটাউনে অনুশীলন চলে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য কাছেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ছেলের সঙ্গে থাকেন মা অদিতি দাস। শনিবার সকালে অনুশীলন সেরে আন্দুলে ফেরেন। সোমবার ভোরেই ফের ছেলের হাত ধরে নিউটাউন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি শুভজ্যোতি ঘোষ বলেন, ‘‘আদিত্যের সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত।’’ তিনি জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আদিত্য পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পরেই ওর সহপাঠীদের মধ্যেও এই খেলায় আগ্রহ বাড়াতে দু’টি টেবিল টেনিস বোর্ড-সহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা করা হয়। ওই বছরের ১৫ অগস্ট আদিত্যকে দিয়েই শতবর্ষ প্রাচীন এই স্কুলে টেবিল টেনিস খেলার উদ্বোধন করা হয়। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের এই খেলা শেখানো হচ্ছে প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে। তিনি বলেন, ‘‘আদিত্যের পড়াশোনায় স্কুলের শিক্ষকেরা সাহায্য করেন।’’