ড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তা জনিত প্রশাসনিক বৈঠক ব্যান্ডেল চার্চে। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
বড়দিন উপলক্ষে গত বছর থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সেজে উঠছে ব্যান্ডেল চার্চ। এ বার উৎসবকে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে দর্শনার্থীদের জন্য একগুচ্ছ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে পুরসভা ও পুলিশ। তার মধ্যে যেমন রয়েছে চার্চ সংলগ্ন এলাকায় জৈব শৌচাগার বসানো ও স্বাস্থ্য শিবির, তেমনই থাকছে সাদা পোশাকে পুলিশ ও সিসিক্যামেরায় নজরদারিও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনিবার চার্চে এ নিয়ে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান মহকুমাশাসক (সদর) স্মিতা শুক্লা। তিনি ছাড়াও চার্চের ফাদার জনির ঘরে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসিপি মৌমিতা দাস ঘোষ, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, পুরপ্রধান অমিত রায়, চুঁচুড়া থানার আইসি অনুপম চক্রবর্তী এবং দমকলের প্রতিনিধি এবং চার্চ সংলগ্ন এলাকার পুর-প্রতিনিধিরা।
পুরসভা সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয় আগামী ২৫ তারিখ থেকে নতুন বছরের কয়েকদিন পর্যন্ত চার্চ সংলগ্ন এলাকায় জৈব শৌচাগার এবং স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থা করা হবে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। ভিড় সামলাতে চার্চের বাইরে ও ভিতরে পুলিশ থাকবে। পকেটমারি, চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে বলেও কমিশনারেটের এক কর্তা জানান।
প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি ফাদার। তিনি বলেন, ‘‘বড়দিন ও নতুন বছর উপলক্ষে অনেকে চার্চে আসেন। ভিড় সামলাতে এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’’ ফাদার জানান, আজ, রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা শুরু হবে চার্চে। বাংলা ভাষাতেই দেড় ঘণ্টার সেই প্রার্থনা চলবে। ২৫ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি সাধারণের জন্য চার্চের গেট বন্ধ থাকছে। ওই দু'দিন যাঁরা আসেন, তাঁদের বাইরে থেকেই চার্চ দেখে ফিরতে হয়। বছর কয়েক ধরে তাঁদের জন্য গেটের সামনেই জিশুর জন্মস্থান গো-শালা প্রদর্শিত হয়। তা তৈরির কাজ চলছে।