—প্রতীকী চিত্র।
এক মাসেরও বেশি সময় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন অ্যাসিড হামলার শিকার এক তরুণী। অভিযোগ, গত ২১ অগস্ট গভীর রাতে বেলুড়ের বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় নিজের বোনের দ্বারা আক্রান্ত হন তিনি। গুরুতর আহত ওই তরুণী এত দিন ভর্তি ছিলেন এম আর বাঙুর হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। দিদির উপরে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগে পুলিশ আগেই তরুণীর বোন আফরিন খাতুনকে গ্রেফতার করেছিল। আফরিন এখন জেল হেফাজতে। এরই মধ্যে মেজো মেয়ের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
ঘটনার পরে প্রথমে তরুণীর পরিবার দাবি করেছিল, রাতে বাড়ির ঘুলঘুলি দিয়ে কেউ অ্যাসিড ছুড়েছে তাদের মেজো মেয়ের উপরে। মুখ কোনও রকমে বেঁচে গেলেও গলা থেকে শরীরের নীচের অংশ পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তরুণীর। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে কিছু হদিস না পেলেও ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে আসার পরে নিশ্চিত হয়, অ্যাসিড ঘুলঘুলি দিয়ে ছোড়া হয়নি। ছোড়া হয়েছিল ঘরের ভিতর থেকে এবং তা ছুড়েছিল পরিবারেরই কেউ।
এর পরেই তদন্তকারীরা তরুণীর পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে তরুণীর বোন আফরিন। সে স্বীকার করে, পারিবারিক বিষয়ে রেষারেষির থেকে হিংসায় এমন কাজ করেছে। স্থানীয় অ্যালুমিনিয়াম কারখানা থেকে এই কাজের জন্য অ্যাসিড জোগাড় করেছিল সে। তরুণীর মৃত্যুতে এ বার খুনের মামলা রুজু হবে।