রাস্তায় মৃতদেহ রেখে অবরোধ পরিজনদের। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার দুপুরে হুগলির বলাগড়ের রুকেশপুরে দুর্ঘটনায় ধৃত গাড়িচালক জামিন পাওয়ায় মৃত শিশু এবং তার বাবার দেহ রেখে বুধবার পথ অবরোধ করলেন বাড়ির লোকেরা। মুক্তারপুর বাসস্ট্যান্ডে ওই সড়ক অবরোধের জেরে যানজট হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে একটি গাড়ি পিছন দিক থেকে একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। তার পরে অন্য একটি বাইকে মুখোমুখি ধাক্কা মারে। প্রথম বাইকটিতে সুজয় দাস নামে এক যুবক ছিলেন। দ্বিতীয় বাইকে পাঁচ বছরের রাজুর সঙ্গে মেয়ে ঋতিকা এবং তাঁদের আত্মীয় সুদর্শন দাস ওরফে গণেশ নামে এক বৃদ্ধ ছিলেন। তাঁরা এক আত্মীয়ের বৌভাত উপলক্ষে মাংস কিনতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় ছিটকে পড়েন চার জনই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ঋতিকা, সুদর্শন, সুজয়কে মৃত ঘোষণা করা হয়। রাতে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে রাজুও মারা যান। শোকের আবহে বৌভাতের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পরেই গাড়িটি আটক করা হয়। অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় গাড়িচালককে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে জামিন দেন বলে জানা গিয়েছে। ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মৃত বাবা-মেয়ের দেহ রাস্তায় রেখে অবরোধ শুরু করেন বলাগড়ের পানিখোলার ওই পরিবারের লোকজন। পাড়া-পড়শিরাও তাতে শামিল হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রাজুর খুড়তুতো ভাই ত্রিদীপ দাস বলেন, ‘‘গাড়িচালক কী ভাবে জামিন পেলেন, পুলিশক তার জবাব দিতে হবে।’’ গাড়িচালককে ফের গ্রেফতারের দাবিও তোলেন বিক্ষোভকারীরা। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের আধিকারিকদের বক্তব্য, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে গাড়িচালককে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। বাকি বিষয় আদালতে বিচার্য।