এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রিসেপশনিস্টের চাকরি দেওয়ার নাম করে এক মহিলাকে ডেকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল। নিজেকে বাঁচাতে পাল্টা ব্লেড দিয়ে ওই ব্যক্তির যৌনাঙ্গ কেটে চিৎকার করেন ওই মহিলা। সোমবার এই ঘটনাটি হুগলি জেলার কোন্নগর মনসাতলা এলাকায় ঘটেছে। এই ঘটনা ঘিরে তৈরি হয় ব্যাপক শোরগোল। খবর দেওয়া হয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চেঁচামেচি শুনে তারা বেরিয়ে আসেন। দেখতে পান এক মহিলা অর্ধনগ্ন অবস্থায় এবং ওই ব্যাক্তি সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর যৌনাঙ্গ রক্তাক্ত। মহিলার দাবি, তিনি ঘরে ঢুকতেই দরজার ছিটকিনি আটকে দেয় অভিযুক্ত। কেন দরজা বন্ধ করেছে জিজ্ঞাসা করায় বলে মশা ঢুকছে। মহিলা চেয়ারে বসে মোবাইল ঘাঁটতে থাকেন। তার পিছনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতে হঠাৎ নগ্ন হয়ে মহিলাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মহিলা তাঁর হাত থেকে বাঁচতে একটি ব্লেড নিয়ে ওই যুবুকের যৌনাঙ্গে চালিয়ে দিয়ে দরজা খুলে চিৎকার করে বেরিয়ে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোন্নগর মনসাতলা সংলগ্ন এলাকায় শান্তি রঞ্জন কর্মকারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন বিপ্লব দত্ত। আদতে চুঁচুড়া রবীন্দ্র নগর এলাকার বাসিন্দা বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি বিগত দুই বছর ধরে ভাড়া ছিলেন কোন্নগরে। সেখানেই এসি, টিভি এবং কিচেন চিমনি সারাইয়ের কাজ করতেন। কিচেন চিমনি সারাতে গিয়ে উত্তরপাড়ার এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অভিযোগ, সেই মহিলাকে সোমবার দুপুরে ইন্টারভিউর জন্য ডাকেন কোন্নগরের বাড়িতে। সাত হাজার টাকা বেতনের রিসেপশনিস্টের চাকরি দেওয়ার জন্য ডাকা হয় বলে দাবি ওই মহিলার। তিনি তার স্বামীর সঙ্গে গিয়েছিলেন সেখানে। স্বামী বাইরে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন। মহিলা ইন্টারভিউ দিতে ঘরে ঢোকেন। তার পরে স্থানীয় লোকেরা শোরগোল শুনতে পেয়ে বাইরে এসে রক্তারক্তি কাণ্ড দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। মহিলা ও তার স্বামীকে উত্তরপাড়া থানায় নিয়ে যায় তারা।