টোটোচালকদের মারধরের জেরে মৃত্যু হল ৫২ বয়সী এক পুরোহিতের। প্রতীকী ছবি।
টোটোচালকদের মারধরের জেরে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অবোধকিশোর ওঝা (৫২)। তিনি পেশায় ছিলেন পুরোহিত। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার ভাঁড়পাড়ায়। উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরের বাসিন্দা হলেও ওই প্রৌঢ় আন্দুল রোডের কাছে ভাঁড়পাড়ায় একটি বাড়িতে একাই ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার এক চা-বিক্রেতাকে চার-পাঁচ জন টোটোচালক মিলে মারধর করছেন দেখে প্রতিবাদ করেন অবোধকিশোর। তখনই মারমুখী ওই টোটোচালকেরা তাঁকে আক্রমণ করে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটান। মাথায় আঘাত নিয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় প্রথমে সরকারি হাসপাতালে ও পরে আন্দুল রোডের একটি সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মহম্মদ আফাব ও জাভেদ মুফতি। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। রাস্তায় পড়ে থাকা একটি পাথর সরানো নিয়ে স্থানীয় এক চায়ের দোকানের মালিক সানি যাদবের সঙ্গে টোটোচালক মিলন থাপার ঝগড়া এবং মারপিট হয়। অভিযোগ, সেই ঘটনার পরে ওই টোটোচালক চায়ের দোকানের মালিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন। তখনকার মতো যে যাঁর বাড়িতে চলে যান। শনিবার সকালে সানি যখন মন্দিরে পুজো করতে গিয়েছিলেন, সেই সময়ে একা পেয়ে মিলন ও তাঁর দলবল তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ।
তখনই সানিকে বাঁচাতে ছুটে এসে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিত অবোধকিশোর। সানিকে ছেড়ে দিয়ে তখনঅবোধকে আক্রমণ করেন টোটোচালকেরা। মারের চোটে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই পুরোহিত। মাথায় গুরুতর আঘাত-সহ তাঁকে দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে যায় বটানিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিশ।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই ঘটনায় মহম্মদ আফাব ও জাভেদ মুফতি নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তেরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। আশা করা যায়, বাকিরাও খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে।’’