—প্রতীকী চিত্র।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে শহর যখন উত্তাল, ঠিক সেই সময়ে জানা গেল, আরও একটি ধর্ষণের ঘটনার কথা। এই ঘটনায় ওয়াটগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ওই তরুণীর বাবা। ওই তরুণী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত অভিযুক্তের নাম সুমিত আগারওয়াল। সে হাওড়ার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, আক্রা রোডে একটি দোকান রয়েছে অভিযুক্তের। সেই দোকানের পাশেই থাকেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বছর তেইশের ওই তরুণী। লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, গত ২৭ জুলাই এই ঘটনাটি ঘটে। দুপুর ১টা নাগাদ অভিযুক্ত যুবক নিজের দোকানের ভিতরে ওই তরুণীকে নিয়ে যায়। সেখানেই সে তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকি, ঘটনার কথা বাইরে গিয়ে কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। নির্যাতিতা ওই তরুণী ভয়েই এত দিন কাউকে কিছু জানাননি। কিন্তু গত কয়েক দিন
ধরে তাঁর বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদের ঘটনার কথা জানান তিনি। এর পরেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের
করা হয়।
গত মঙ্গলবার বিকেলে অভিযোগ পাওয়ার পরেই সুমিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে দিন ধর্ষণ করা ছাড়াও একাধিক দিন ওই তরুণীকে সে যৌন হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ। এসএসকেএম হাসপাতালে তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত ছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।