মহম্মদ মুখতার ওরফে ধানুয়া। — নিজস্ব চিত্র।
মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে খুন করা তাঁর বাঁ হাতের খেল। সেই ১১ হত্যাকাণ্ডের আসামি, সুপারি কিলার মহম্মদ মুখতার ওরফে ধানুয়াকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল চুঁচুড়া আদালত। ১১ বছর আগে হুগলিতে খুন করে উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন ধানুয়া। সেখান থেকে তাঁকে ধরে আনে মগরা থানার পুলিশ। সেই হত্যাকাণ্ডে সোমবার সাজা ঘোষণা করে আদালত।
সোমবার হুগলি জেলা আদালতের বিশেষ সরকারি আইনজীবী কালীপ্রসাদ সিংহ জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ২৯শে জুন রাত ৮টা নাগাদ মগরা থানার বাঁশবেড়িয়ার কলবাজার এলাকায় বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয়ে গিয়েছিলেন শিবপুর ইসলামপাড়া বাই লেনের বাসিন্দা কেতাবুদ্দিন। অভিযোগ ওঠে, এলাকার দুষ্কৃতী ধানুয়া দলবল নিয়ে চড়াও হন কেতাবুদ্দিনের উপর। এর পর পাইপগান দিয়ে তিনি কেতাবউদ্দিনের মাথায় গুলি করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ধানুয়া এবং তাঁর সঙ্গীদের ধরার চেষ্টা করলে তিনি গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় কেতাবুদ্দিনের।
ওই আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, ঘটনার পরেই ধানুয়া পালিয়ে যান এ রাজ্য ছেড়ে। তদন্তে নেমে মগরা থানার পুলিশ উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের এক হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় সাক্ষ্য দেন মোট ১৮ জন। কেতাবুদ্দিনের দাদাকেও খুন করেন ধানুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১১ জনকে খুনের অভিযোগ। এত দিন সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে যেতেন তিনি। মূলত সুপারি নিয়ে খুন করা ছিল তাঁর পেশা। অভিযুক্ত ধনুয়াকে জেলে রেখেই বিচারপর্ব শেষ হয়। চলতি বছরের ৬ মার্চ হুগলির প্রথম অতিরিক্ত জেলা বিচারক সঞ্জয়কুমার শর্মা ধানুয়াকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন। তিনি ধানুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেতাবুদ্দিনের স্ত্রীকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করতে।