TMC

হাওড়ায় হামলার অভিযোগ প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির, অভিযুক্ত বিধায়ক

তোলাবাজি ঘিরে গোলমালের জেরে এ বার দলীয় কার্যালয়ের সামনেই আক্রান্ত হলেন হাওড়া পুরসভার এক প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি ও তাঁর স্বামী। বুধবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৭:৪১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

হাওড়া স্টেশন চত্বর জুড়ে চলা তোলাবাজি নিয়ে এ বার শাসকদলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। তোলাবাজি ঘিরে গোলমালের জেরে এ বার দলীয় কার্যালয়ের সামনেই আক্রান্ত হলেন হাওড়া পুরসভার এক প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি ও তাঁর স্বামী। বুধবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের কাছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে হাওড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি লক্ষ্মী সাহানি ও তাঁর স্বামী সন্তোষ সাহানি (ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি) যখন হাওড়া পাইকারি মাছ বাজার সংলগ্ন ওয়ার্ড অফিসে বসে ছিলেন, তখনই আনাজ বাজারের কয়েকশো মহিলা ও পুরুষ তাঁদের আচমকা আক্রমণ করেন। হামলাকারীদের মারে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই জখম হন। পাল্টা আক্রমণ করেন লক্ষ্মী ও
সন্তোষের অনুগামীরা। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশের বাহিনী। পুলিশ এসে দু’পক্ষকেই সরিয়ে দেয়। পরে
প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি গোলাবাড়ি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এই ঘটনার পরে আক্রান্ত লক্ষ্মীর অভিযোগ, ‘‘হাওড়া স্টেশন চত্বরে চলা জুয়া, সাট্টা ও মাদকের কারবারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এ দিন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর নির্দেশে জেলা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি অরবিন্দ দাস ওরফে টাবলুর নেতৃত্বে কয়েকশো মহিলা ও পুরুষ আমাদের আক্রমণ করেছিলেন। কারণ, গৌতমদার নির্দেশেই এলাকার তোলাবাজেরা জুয়া, সাট্টা ও শৌচাগার থেকে টাকা তুলছিল। আমরা তা বন্ধ করে দিতেই এই আক্রমণ।’’

Advertisement

যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি জেলা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি অরবিন্দ। তিনি বলেন, ‘‘মারধরের বিষয়টা আমি ঠিক জানি না। তবে, ঘটনাটা ঠিক উল্টো। ওই প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি ও তাঁর স্বামী তোলা চেয়েও না পাওয়ায় আনাজ বাজারের এক ব্যবসায়ীর দোকানে তালা মেরে দিয়েছিলেন বলে শুনেছি। সেই ঘটনার পাল্টা হিসাবেই আজকের ঘটনা ঘটেছে। তবে, তার সঙ্গে আমার যোগ নেই।’’

এ দিন তাঁর বিরুদ্ধে দলেরই এক প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বলেন, ‘‘ওঁদের দু’জনের সঙ্গে উত্তর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের গত দু’বছর ধরে কোনও যোগাযোগ নেই। শুনেছি, ওঁরা দলেরই কোনও মন্ত্রীর বাড়িতে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বসে থাকেন। এর বাইরে ওঁদের আর কোনও ভূমিকা নেই। ওঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলকে জানাচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement