সইফের ঘটনার পরে জোরদার হল করিনার নিরাপত্তা। ছবি: সংগৃহীত।
সইফ আলি খানের বাড়িতে মধ্যরাতে দুষ্কৃতীদের হামলা। ঘটনায় আতঙ্কে বলিউড। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই বাড়িতে ঢুকেছিল দুষ্কৃতী। ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। ইতিমধ্যেই সইফের বাড়ির কয়েক জন কর্মীকে আটক করেছে মু্ম্বই পুলিশ। শুধুই চুরি, না কি অন্য কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকেছিল, সেই বিষয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
বিভিন্ন মহলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ অবস্থায় জোরদার করা হল করিনা কপূর খানের নিরাপত্তা। বুধবার রাতের ঘটনার পরে করিনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। করিনাকে দেখেই বোঝা যায়, তিনি ভীত ও সন্ত্রস্ত। বৃহস্পতিবার দুপুরেও সইফকে দেখতে লীলাবতী হাসপাতালে যান অভিনেত্রী। ছবিশিকারিরা লক্ষ করেন, অন্য সময়ের তুলনায় করিনার নিরাপত্তা আরও কড়া হয়েছে।
প্রায়ই ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় ধরা দেন সইফ-করিনা। সঙ্গে থাকেন তৈমুর ও জেহ্। সন্তানদের নিয়েও কোনও রাখঢাক করেননি তাঁরা। কখনওই তাঁদের সঙ্গে কোনও দেহরক্ষীও থাকেন না। কিন্তু বুধবার রাতের ঘটনার পরে নিরাপত্তা জোরদার করা হল তাঁদের। হাসপাতালে করিনার সঙ্গে দেখা যায় একাধিক দেহরক্ষী ও পুলিশকর্মীকে।
এই ঘটনার উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছিল, বুধবার রাতে নয়, বরং বহু ক্ষণ আগেই দুষ্কৃতী ঢুকে পড়েছিল বান্দ্রা এলাকার ওই অভিজাত আবাসনে। সন্দেহ করা হয়েছিল, কোনও পরিচারিকাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন সইফ। তবে এর মধ্যে আরও একটি জল্পনাও উঠে আসছে। এই ঘটনায় কোনও ভাবে লরেন্স বিশ্নোইয়ের হাত নেই তো? বিভিন্ন মহলে উঠছে প্রশ্ন।
অক্টোবর মাসে সলমন খানের ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকিকে খুনের দায় স্বীকার করেছিল লরেন্স বিশ্নোই। এর পরেও সলমন-ঘনিষ্ঠেরা নিশানায় থাকছেন বলে হুমকি দিয়েছিল সে। একই কারণে চলতি বছরে জন্মদিন আড়ালেই কাটিয়েছেন সলমন ও শাহরুখ খান। সইফের চোটও ছিল বেশ গুরুতর। খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই দুষ্কৃতী বাড়িতে প্রবেশ করেছিল কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। তাই ফের উঠে আসছে লরেন্স বিশ্নোইয়ের নাম।