আবর্জনার পাশে পড়ে রয়েছেন অশোক চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।
আত্মীয়স্বজন থাকা সত্ত্বেও তাঁর দেখভাল করে না। তাই ঠাঁই হয়েছিল ক্লাবঘরে। তবে সেই ক্লাব থেকে বার করে দেওয়ায় পুকুরপাড়ে আস্তাকুঁড়ের পাশে দিন কাটছে প্রৌঢ়ের। এমনই অভিযোগ উঠল হুগলি জেলার চন্দননগরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চন্দননগরের কুটির মাঠ এলাকার বাসিন্দা ভ্যান রিকশাচালক অশোক চৌধুরী গত এক বছর ধরে লিভারের অসুখে ভুগছেন। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর ভাইদের সংসারে তাঁর দিন কাটছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় কিছু দিন চন্দননগর হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে তাতেও সুস্থ হয়ে ওঠেননি তিনি। বরং শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। অভিযোগ, সে সময় থেকেই ভাইদের সংসারে ব্রাত্য হয়ে ওঠেন। এক সময় তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। মাসখানেক ধরে এলাকার একটি ক্লাবে তাঁর থাকার জায়গা হয়। কিন্তু সেখানেও অশোককে দেখার কেউ না থাকায় তাঁকে ক্লাব থেকে তা়ড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি, গত দু’দিন ধরে আবর্জনার পাশে সাপখোপের আস্তানার ধারে পড়ে রয়েছেন প্রৌঢ়।