নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘদিন আফগানিস্তানে ছিলেন। সামনে থেকে দেখেছিলেন সে ন্যাটোর কুচকাওয়াজ। আজ কয়েক হাজার মাইল দূরে বসে আছেন তিনি। কিন্তু আফগানিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা তাঁকে ভাবাচ্ছে, ফিরে আসছে স্মৃতি। বারাবার বলছেন, ‘‘ও দেশের মহিলাদের যে কী অবস্থা হবে, তা ভাবতে পারছি না।’’
হওড়ার মৌরিগ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিৎ ভাদুড়ি ভারত ছাড়েন ২০০৫ সালে। । আফগানিস্তানে ছিলেন তিন বছর। একটি আমেরিকার সংস্থার ইঞ্জিনিয়র হিসাবে সে দেশে বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করার কাজ করতেন তিনি। তখন আমেরিকার সৈন্য নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে। দিনরাত এক করে কন্দহর ও বগরম বায়ুসেনা ঘাঁটির সম্প্রসারণের কাজ চলেছে ওই সময়ে। সেই কাজেই ছিলেন ইন্দ্রজিৎ। তিনি বলছেন, ‘‘আফগানরা খুবই অতিথিপরায়ণ ও ভদ্র। আমি যখন ছিলাম, তখন আমেরিকার দাপট। তালিবানরা তেমন সুবিধা করতে পারত না। অফিস, ব্যাঙ্ক, রেস্তরাঁ, সর্বত্র কাজ করতেন মহিলারা। কিন্তু হঠাৎ সেনা প্রত্যাহার করায় চিত্রটা পাল্টে গেল।’’
কর্মরত অবস্থায় একবার তালিবানরা হামলার চেষ্টা করে বগরম বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। কিন্তু সফল হয়নি। এত বছর পর নিজের হাতে তৈরি সেই ঘাঁটি এখন তালিবানদের দখলে। ইন্দ্রজিৎ বলছেন, ‘‘তালিবানি শাসনে সবচেয়ে বিপদে পড়বেন মহিলারা। দেশে বাড়বে গোলাগুলির দাপট। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।’’ তবে ইন্দ্রজিতের অভিজ্ঞতা এটাও জানাচ্ছে যে, আমেরিকার বিমান হামলায় বহু আফগান সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তাই তাঁরা আমেরিকার সৈন্যকে পছন্দ করতেন না। আর সেই পথেই তালিবানদের নতুন করে উত্থান হয়।