কিষাণ স্পেশাল ট্রেনের সূচনা। নিজস্ব চিত্র।
কৃষকদের সুবিধার্থে এ বার তারকেশ্বর থেকে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর পর্যন্ত চালু হল কিষাণ স্পেশাল ট্রেন। ২০ বগির এই ট্রেন প্রতি শুক্রবার তারকেশ্বর স্টেশন থেকে ছাড়বে ৩৫ ঘণ্টার যাত্রা শেষে ডিমাপুর পৌঁছবে সকাল ১০টায়। এর ফলে অসম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়-সহ পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যে হুগলির তারকেশ্বর, পূর্ব বর্ধমানের কালনা, পূর্বস্থলি, কাটোয়া, নদিয়ার নবদ্বীপের সব্জি পৌঁছে যাবে।
শুক্রবার তারকেশ্বর স্টেশন থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এই ট্রেনটির। পূর্ব রেলের আধিকারিক কাশীনাথ মিশ্র জানান, আপাতত ৬ মাসের জন্য চলানো হবে ট্রেনটি। যদি ভাল সাড়া পাওয়া যায় তবে মেয়াদ বাড়ানো হবে। যেখনে সব্জির উৎপাদন বেশি হয় সেখান থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে এমন জায়গায় তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই ট্রেন চালানো হচ্ছে।
তারকেশ্বর থেকে শ্রীরামপুর ভায়া ব্যান্ডেল-কালনা-কাটোয়া-আজিমগঞ্জ-মালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি-বঙ্গাইগাঁও-গুয়াহাটি-লামডিং হয়ে ডিমাপুর পৌঁছবে এই ট্রেন। বিভিন্ন ধরনের সব্জি ছাড়াও আলু পেঁয়াজ নিয়ে যাওয়া হবে।
এই ট্রেন চালুর ফলে কৃষকরা কিছুটা বেশি লাভ পেতে পারেন। তারকেশ্বরের কৃষক অমিত ভাণ্ডারি বলেন, “স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলে অনেক সময় ফসলের দাম পাওয়া যায় না। বাইরের রাজ্যে রপ্তানির সুযোগ থাকলে দাম ভাল দাম পাওয়া যাবে বলে আশা। আগেও তারকেশ্বর থেকে আলু নিয়ে যাওয়ার জন্য রেক দেওয়া হত।”
ব্যবসায়ী মন্টু সামন্ত বলেন, “শীতকালে এক সঙ্গে অনেক ফসল উৎপাদনের ফলে এখানে ন্যায্য দাম পান না কৃষকরা। টমেটো, কপি থেকে সিম, বেগুন সব ধরনের সব্জি কিষাণ ট্রেনে নিয়ে গেলে দাম পাবেন কৃষকরা। আর যে সব স্টেশনে সব্জি ট্রেনে তোলা হবে সেখানকার কৃষকদের পাশাপাশি গাড়িওয়ালা থেকে মুটে, ব্যবসায়ীদেরও লাভ হবে।”