Kunal Kamra

নিজের টুইটের জন্য ক্ষমা চাইবেন না, সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিলেন কুণাল কামরা

কুণাল এফিডেভিটে আরও লিখেছেন, তাঁর টুইট বা চুটকি বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী আদালতের ভিত নাড়িয়ে দেবে, এমনটা ভাবা তাঁর কর্মক্ষমতার অতিরঞ্জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:০৮
Share:

কুণাল কামরা। ফাইল চিত্র।

স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কুণাল কামরা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিলেন, নিজের টুইটের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না। সুপ্রিম কোর্টকে নিয়ে কুণালের করা টুইটে আদালত অবমাননা হয়েছে, এই অভিযোগে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয় ডিসেম্বরে। তার উত্তরে শুক্রবার কুণাল এফিডেভিট জমা করে নিজের বক্তব্য জানিয়ে দেন। এফিডেভিটে কুণাল লিখেছেন, ‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা তার কাজের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাকে নিয়ে করা সমালোচনার উপর নয়’।

Advertisement

কুণাল এফিডেভিটে আরও লিখেছেন, তাঁর টুইট বা চুটকি বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী আদালতের ভিত নাড়িয়ে দেবে, এমনটা ভাবা তাঁর কর্মক্ষমতার অতিরঞ্জন। এখানেই থামেননি কুণাল, তিনি যোগ করেছেন, ক্ষমতাশালী কোনও প্রতিষ্ঠান সব রকম সমালোচনার ঊর্ধ্বে, গণতন্ত্রে এটা ভাবা অন্যায্য। যেমন যখন গোটা দেশে অপরিকল্পিত লকডাউন চলছে, সেই সময় পরিযায়ী (শ্রমিক)-দের বলা হয়, বাড়ি ফেরার জন্য নিজেদের রাস্তা নিজেরাই খুঁজে নিন, এটা অযৌক্তিক এবং অগণতান্ত্রিক।

কুণাল দাবি করেছেন, দেশে অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি বাড়ছে। এমনকি তিনি আর এক কৌতুক শিল্পী মুনাওয়ার ফারুকির গ্রেফতারের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তাঁর এফিডেভিটে। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আহত হতে দেখেছি যখন মুনওয়ার ফারুকিকে জেলে ঢোকানো হল কৌতুকের কারণে, যে কৌতুকের রচয়িতা তিনি নন। এবং স্কু্ল পড়ুয়াদের জেরা করা হল দেশোদ্রোহিতার অভিযোগে। এমন একটা সময়ে আদালত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে দেখবে বলেই আমার বিশ্বাস’।

Advertisement

২০২০-র ডিসেম্বরে কুণালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে এক আবেদনকারী দাবি করেন, কুণালের টুইটগুলি আদালতের পক্ষে মানহানিকর। তার পরই সুপ্রিম কোর্ট নোটিস দেয় কুণালকে। তারই জবাবে শুক্রবার এফিডেভিট জমা করলেন কুণাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement