গার্হস্থ্য হিংসা ও খুনের অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
বধূর রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা হুগলির মগরার সপ্তগ্রাম এডকোনগর এলাকায়। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হলেন স্বামী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে মিলি সাহা নামে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। অভিযোগ, বধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর কয়েক আগে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা মিলির সঙ্গে বিয়ে হয় মিঠাপুকুর এডকোনগরের বাসিন্দা দিলীপ সাহার। দম্পতির দু’টি সন্তান রয়েছে। মিলির বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে প্রায়শই অত্যাচার করা হত মেয়ের উপর। পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। রবিবার সকালে বাপের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন মিলি। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি ফেরার পরেই তাঁর মৃত্যুর খবর পান বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, গার্হস্থ্য হিংসার বলি হয়েছেন বছর পঁচিশের মেয়েটি।
বধূর মৃত্যুতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী যায় মিলির শ্বশুরবাড়িতে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকাবাসী। দোষীদের কঠোর শাস্তি চান তাঁরা।
এই ঘটনায় এলাকার কাউন্সিলর অমিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার এলাকারই মেয়ে। শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার হত বলে অভিযোগ উঠেছে। সকালবেলায় আজ বাপের বাড়িতে এসেছিল মেয়েটি। শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ওর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ।’’ তিনি জানান, আগেও অশান্তির কারণে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন মিলি। পরে আবার মিটমাট হওয়ার পর শ্বশুরবাড়িতে যান।
দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখার পরই যা ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়া হবে।’’