থামানো হয়েছে বিজেপি-র মিছিল। নিজস্ব চিত্র
নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক এবং প্রার্থী-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির চন্দননগরে। প্রসঙ্গত, আগামী পুরভোটে ভার্চুয়াল প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি পাঁচ জনকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করার আবেদন করেছে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে। কিন্তু অভিযোগ, রবিবার চন্দননগরে বিজেপি-র প্রচারে উপস্থিত ছিলেন বেঁধে দেওয়া সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি লোক।
ভোটপ্রচারে বেরিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল থেকে চন্দননগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করে বিজেপি। ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী সন্ধ্যা দাসের সঙ্গে ছিলেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ, বিজেপি-র হুগলি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার এবং যুব সভাপতি সুরেশ সাউ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও। মিছিল করে তাঁরা বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে থাকেন। খবর পেয়ে কমিশনের কর্মীরা সেই মিছিল আটকান। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। কিছু ক্ষণ পর পুলিশ বিধায়ক এবং প্রার্থী-সহ সাত জনকে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করে।
পুরশুড়ার বিধায়কের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, ‘‘শুধুমাত্র বিজেপি বলে আমাদের আটকানো হচ্ছে। আমরা চাই, ২২ তারিখের ভোট বাতিল করা হোক। কমিশনের নির্দেশ কি শুধুমাত্র বিজেপি-র জন্য? সিপিএমও ১০-১৫ জন লোক নিয়ে প্রচার করছে। ওরা বেরোলে আমাদেরও একশো লোক বেরোবে।’’
এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনৈতিক কাজ, অনিয়ম করার জন্য বিজেপি মাস্টার। ওদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এটা করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশকে অনুরোধ করব এগুলো দেখার জন্য।’’