তিন জনকে পিষে দিল বেপরোয়া গাড়ি। — নিজস্ব চিত্র।
কিশোরী-সহ তিন জনকে পিছন থেকে পিষে দিল বেপরোয়া গাড়ি। মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটেছে হুগলির বলাগড়ে। ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন। তাঁদের উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে বলাগড়ের বোড়াল এলাকায় অসম লিঙ্ক রোড (এসটিকেকে রোড) ধরে প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। সেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি বাইকে ধাক্কা মারে। তার পর আরও একটি বাইকে ধাক্কা মেরে কিছুটা গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় দু’টি বাইকের তিন জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। দু’জন গুরুতর জখম হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। ঘাতক গাড়িটি আটক করেছে পুলিশ। গাড়িচালকের নাম বিপ্লব কর্মকার। তিনি পেশায় ঠিকাদার। বিপ্লব বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। মৃতদের দু’জন বলাগড়ের খামারগাছি এলাকার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রয়েছে খামারগাছির পানিখোলার কিশোরী ঋত্বিকা দাস (১০) এবং রুকেশপুরের বাসিন্দা সুদর্শন দাস (৪৫)। এ ছাড়া সুজয় দাস (৩২) নামে কুন্তীঘাটের নয়াসরাইয়ের এক বাসিন্দারও মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। ঋত্বিকা তার বাবা রাজু দাসের সঙ্গে গাড়িতে চড়ে রওনা দিয়েছিল বলাগড়ের উদ্দেশে। বোড়াল মোড় এলাকায় ঘটে ওই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় ঋত্বিকার মৃত্যু হলেও তার বাবা রাজু জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও এক জন। তাঁদের উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছে নিকটবর্তী জিরাট হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর থেকে কালনার দিকে যাচ্ছিল। বাইক দু’টিও যাচ্ছিল কালনার দিকে। পিছন দিক থেকে গাড়িটি ধাক্কা মারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল চারচাকার গাড়িটি। প্রথমে গাড়িটি একটি বাইকে ধাক্কা মারে। তাতে বাইকটি ছিটকে পড়ে। তার পর আরও একটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে গাড়িটি দাঁড়িয়ে যায়। আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে হতাহতদের উদ্ধার করে। তিন জন ঘটনাস্থলে মারা গিয়েছেন।’’