Kidnap

বিয়েবাড়িতে ছবি তোলা নিয়ে ঝামেলা! বিহার থেকে আলোকচিত্রীকে অপহরণের অভিযোগে রিষড়ায় ধৃত ৩

তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। এমনই একটি ফোন পেয়ে শিলিগুড়ি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অপহৃত ফটোগ্রাফার জয় তালকুদারের স্ত্রী সোমা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রিষড়া শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৪২
Share:

অপহরণ করে অপহৃতের স্ত্রীকে ফোন করে টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।

বিয়েবাড়িতে ছবি তুলে টাকা পাননি। এই কারণে বিহার থেকে এক শিলিগুড়ির ফটোগ্রাফারকে হুগলিতে অপহরণ করে নিয়ে আসার অভিযোগ ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। শেষে অপহরণের দায়ে গ্রেফতার হলেন রিষড়ার ৩ জন।

Advertisement

তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। এমনই একটি ফোন পেয়ে শিলিগুড়ি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অপহৃত ফটোগ্রাফার জয় তালকুদারের স্ত্রী সোমা। সোমবার শিলিগুড়ি থানার পুলিশের একটি দল অভিযোগকারিণীকে নিয়ে রিষড়ায় আসেন। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই ৩ জনকে।

জয়ের স্ত্রী জানান, তাঁর স্বামী বিয়েবাড়িতে ফটোগ্রাফির কাজ করেন। দিন কয়েক বিহারে একটি বিয়েতে ছবি তোলার বরাত পেয়েছিলেন। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে স্বামীকে ফোন করে তিনি জানতে পারেন যে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা জানায়, রিষড়ায় আছে জয়। টাকা দিলে তবেই জয় ছাড়া পাবেন। এর পর সোমা শিলিগুড়ি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, রিষড়ার ৩ যুবক শুভঙ্কর দাস, ইন্দ্রজিৎ রায় এবং সমীর মণ্ডল ফ্রিলান্স ফটোগ্রাফারের কাজ করেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিহারে তাঁরা একটি বিয়ে বাড়ির কাজ পান শিলিগুড়ির বাসিন্দা জয়ের মাধ্যমে। ৭ দিনের কাজের জন্য মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। চুক্তিমাফিক কাজ চললেও কাজের শেষে সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে জয় টালবাহানা করতে থাকেন বলে অভিযোগ। সেই টাকা না পেয়ে জয়কে বিহার থেকে গাড়িতে তুলে সোজা রিষড়ায় নিয়ে চলে আসেন ৩ যুবক। পঞ্চাননতলা এলাকায় একটি ক্লাবে আটকে রাখা হয় জয়কে। সেখানে নিজেদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই সময় স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ৪ জনকেই রিষড়া থানায় তুলে আনে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে পুরো ঘটনা।

জয়ের স্ত্রী জানান, তিনি জানতেনই না কীসের জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছে। তাই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় ওই ৩ জনকে শিলিগুড়ি নিয়ে যায় পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement