ধৃতদেের জেরা পুলিশের। — নিজস্ব চিত্র।
সাংবাদিককে খুন করে এ রাজ্যে নাম ভাঁড়িয়ে লুকিয়েছিলেন বিহারের তিন তরুণ। বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেফতার করল হুগলির চন্দননগর থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বিহারের বেগুসরাই জেলার বকরি থানার ছোটিরানিতে সুভাষ কুমার নামে এক সাংবাদিককে খুন করেছিলেন।
চন্দননগরের ডেপুটি কমিশনার বিদিত রাজ বুন্দেশ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাঁরা খবর পান চন্দননগরের গোস্বামীঘাটে তিন অপরিচিত যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর পর সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের প্রাথমিক ভাবে আটক করে পুলিশ। জেরায় প্রাথমিক ভাবে তিন জন জানিয়েছিলেন, তাঁরা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। নাম জানান, আমন কুমার, রিকি কুমার এবং সৌরভ কুমার। পুলিশকে আমন তাঁর নামের আধার কার্ডও দেখায়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পর বেশ কিছু ক্ষণ পুলিশি জেরায় বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। জানা যায় ধৃতরা বিহারের বেগুসরাই জেলার বকরি থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের নাম রোশন কুমার (২২), প্রিয়াংশু কুমার (২১) এবং সৌরভ কুমার(১৮)।
এর পর বিহারের বকরি থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ধৃত তিন জনের সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করে চন্দননগর থানার পুলিশ। জানা যায়, বিহারের এক সাংবাদিককে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওই তিন দুষ্কৃতী। ওই তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছ। ধৃতদের থেকে দিল্লি মেট্রো রেলের টোকেন, সিম কার্ড, মোবাইল ফোন, আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড উদ্ধার হয়েছে।
বেগুসরাইয়ের বকরি থানার ছোটিরানিতে গত ২০ মে খুন হন সাংবাদিক সুভাষ কুমার। তদন্তে নেমে পুলিশ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জেরা করে এই তিন জনের নাম জানতে পারা যায়। গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ওই তিন অভিযুক্ত। পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা হয়ে দিন দুয়েক আগেই এ রাজ্যে ঢুকেছিল ওই তিন জন। শেষমেশ তাদের গ্রেফতার করল পুলিশ।