রাত পোহাতেই শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় তুমুল আক্রমণ করা হল দেবেন্দ্র ফডণবীসকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। আর রাত পোহাতেই শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় তুমুল আক্রমণ করা হল দেবেন্দ্র ফডণবীসকে। ঘটনাচক্রে যিনি শেষ মুহূর্তে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তাঁর দিকে সামনায় কটাক্ষ মেশানো প্রশ্ন করা হয়েছে, সেই যখন উপমুখ্যমন্ত্রীই হলেন, তা হলে ২০১৯-এ কেন হলেন না?
দেশের দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে বরাবরই ‘ঠোঁটকাটা’ বলে পরিচিতি রয়েছে শিবসেনার মুখপত্র সামনার। বরাবরই তাদের সম্পাদকীয় পাতায় চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করা হয় শিবসেনা বিরোধীদের। বৃহস্পতিবারের পর সেই আক্রমণের কেন্দ্রে চলে এলেন শিবসেনারই আর এক নেতা। ঘটনাচক্রে যিনি উদ্ধবের সরকার ভেঙে রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। যদিও গোটা সম্পাদকীয় পাতায় এক বারও একনাথ শিন্ডের নাম করা হয়নি। তবে এ দিনের সম্পাদকীয়ের আক্রমণের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিলেন ফডণবীস এবং তাঁর দল বিজেপি। লেখা হয়েছে, ‘২০১৯ বিধানসভা ভোটের আগে শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে ক্ষমতা বণ্টনের নীলনকশা চূড়ান্ত হয়েছিল, তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে কেন তারা (বিজেপি) জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল?’
এর পরই ফডণবীসকে সরাসরি কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘তাঁর তো মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফেরার কথা ছিল, কিন্তু দেখতে পাচ্ছি, তিনি ফিরলেন উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে!’ তার পরই লেখা হয়েছে, ‘সেই তো উপমুখ্যমন্ত্রীই হলেন, তা হলে ২০১৯-এ কী সমস্যা হয়েছিল?’
সামনায় এর পরের নিশানা একনাথ শিন্ডে। তবে এক বারও তাঁর নাম করা হয়নি। লেখা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে যা যা হল, তাতে একটা জিনিস প্রমাণিত, তা হল, সবার উপরে ক্ষমতা সত্য, আর বাকি সব মিথ্যা। যাঁরা বলছেন, শিবসেনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, তাঁরাই সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুকুট পরে নাচানাচি করছেন। তা-ও আবার এমন দলের সমর্থন নিয়ে যাঁরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাবি করে এল, বিধায়কদের বিদ্রোহী হয়ে ওঠার সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই!’ মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক টালমাটাল সময়ে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রকাশ্য অসন্তোষ রয়েছে সামনার সম্পাদকীয় স্তম্ভে। আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি সুপ্রিম কোর্টও।