— প্রতীকী চিত্র।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে দু’জনের মৃত্যু হল হুগলি জেলায়। তারকেশ্বর এবং পুরশুড়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েক জন। সকালেই মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার এক কৃষকের। হুগলির তারকেশ্বরেও কার্যত একই ঘটনা ঘটল। অন্য দিকে, পুরশুড়ায় ঝড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।
রবিবার সকালে জমিতে কৃষিকাজ করছিলেন তারকেশ্বরের পিয়াসাড়ার বাসিন্দা বছর ২৬-এর লক্ষ্মণ মালিক নামে ওই যুবক। সেই সময় শুরু হয় দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টি। আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখে তিনি বাড়ির পথ ধরেন। সেই সময় হঠাৎই বজ্রপাত হয় লক্ষ্মণের উপর। তিনি লুটিয়ে পড়েন রাস্তায়। সেই সময় আরও কয়েক জন জমি থেকে কাজ ফেলে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা লক্ষ্মণের বাড়িতে খবর দেন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কার্যত একই ভাবে উত্তর ২৪ পরগনাতেও মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। স্থানীয় সূত্রে খবর, গাইঘাটার বাসিন্দা বছর ৩৮-এর নেপাল হালদার রবিবার সকালে মাঠে কাজ করছিলেন। সেই সময় বজ্রপাত হয় তাঁর উপর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নেপালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
অন্য দিকে, ঝড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে পুরশুড়ায় মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। অভিযোগ, পুরশুড়ার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর গ্রামে ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে মৃত্যু হয় আনন্দ পাড়ুই নামে এক ব্যক্তির। আহত হন আরও দু’জন। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগ তুলে এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে স্থানীয়রা পথ অবরোধ করেন। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠিয়েছে।