— প্রতীকী চিত্র।
বন্ধুদের সঙ্গে নৌকাবিহারে গিয়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার হুগলির চণ্ডীতলা থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তকে লখনউ থেকে পাকড়াও করে এনেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
গত বুধবার মৌসম বাঙাল নামে ১৮ বছরের এক পড়ুয়া তিন বন্ধুর সঙ্গে পদ্মপুকুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শিয়াখালা বেণীমাধব স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া পদ্মপুকুরে ডিঙি নৌকায় চেপে ঘুরছিলেন। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেড়িয়াদহ গ্রামের বাসিন্দা মৌসমের পরিবারের অভিযোগ করে তাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। মৃতের বাবা-মা পুলিশের কাছে জানান ফোন করে মৌসমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বন্ধুরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যান মৌসম। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগও করতে পারেননি। কোথাও ছেলের খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। গত শুক্রবার জলাশয় থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ছাত্রের তিন বন্ধু প্রবীর ঘাউ, শ্রীকান্ত মণ্ডল এবং রাজা মহন্তর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়।
যদিও তিন অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে তাঁদের বাড়িতে পায়নি পুলিশ। তাঁদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছিল। রবিবার রাতে লখনউ রেলস্টেশনে থেকে শ্রীকান্ত এবং রাজাকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। সোমবার তাঁদের সেখানকার আদালতে হাজির করানো হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁদের মঙ্গলবার চণ্ডীতলায় নিয়ে আসা হবে। তবে ‘মূল অভিযুক্ত’ প্রবীর এখনও অধরা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।