নিজস্ব চিত্র।
একট বা দুটো নয়, এক থালা ভর্তি পাথর বেরোলো এক রোগীর শরীর থেকে! ছোট ও বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ৪৪০টি! হুগলির চুঁচুড়ার এক তরুণের পিত্তাশয়ে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে এমন ঘটনায় হতভম্ব চিকিৎসকও! তবে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থই আছেন ওই রোগী।
পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়ায় মাস তিনেক আগে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মিঞারবেড় পীরতলা এলাকার বাসিন্দা বিভাসিন্ধু দত্ত নামে ১৭ বছরের ওই তরুণকে। আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে, বহু পাথর রয়েছে তাঁর পিত্তথলিতে। কিন্তু বিভাসিন্ধুর অতিরিক্ত উদ্বেগ ও রক্তক্ষরণের সমস্যা থাকায় সরাসরি অস্ত্রোপচারে রাজি হননি চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানান, মাইক্রো সার্জারি করে তাঁর শরীর থেকে পাথরগুলি বার করা হবে। কিন্তু খরচের কথা ভেবে পিছিয়ে আসে বিভাসিন্ধুর পরিবার।
এর পরেই তরুণের পরিবারের সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক কায়ুম খানের পরিচয় হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার পরামর্শ তিনিই দেন। এর পর চিকিৎসকের কথা মতোই বিভাসিন্ধুকে ভর্তি করানো হয় তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। রবিবার সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর কায়ুম বলেন, ‘‘তিন মাস আগে পেটে ব্যথা নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। আলট্রাসোনোগ্রাফিতে ওঁর পিত্তাশয়ে অত পাথর দেখে চমকে গিয়েছিলাম। অপারেশনের পর ওঁর পিত্তথলি থেকে ১ হাজার ৪৪০টি পাথর বেরিয়েছে। এখনই অপারেশন না করা হলে বিপদ ঘটে যেতে পারত।’’
অস্ত্রোপচারের পর সুস্থই আছেন ওই বিভাসিন্ধু। অস্ত্রোপচারের পর তিনি বলেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে। তা-ও আবার বিনা খরচে। ডাক্তারবাবুকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উনি ভগবানের মতো কাজ করলেন। আমি খুশি।’’