কয়েক মাস পরেই পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে সোমবার সে রাজ্যের রাজধানী চণ্ডীপড়ের পুরভোটে বড় ধাক্কা খেল ক্ষমতাসীন বিজেপি। ২০১৬ সালে কেন্দ্রশাসিত ওই অঞ্চল নিয়ে গঠিত পুরসভার ২৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে জিতেছিল তারা। এ বার ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে ৩৫ হলেও পদ্ম-শিবিরের ঝুলিতে মাত্র ১২।
অন্য দিকে, প্রথম বার লড়েই চণ্ডীগড়ে চমকপ্রদ ফল করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। ভোট হওয়া ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে অরবিন্দ কেজরীবালের দল জিতেছে ১৪টিতে। বিদায়ী পুরবোর্ডের শাসকদল বিজেপি জিতেছে ১২টিতে। কংগ্রেস ৮ এবং শিরোমণি অকালি দল ১টি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে। কেজরীবাল ভোটের ফল প্রকাশের পর টুইটারে লিখেছেন, ‘‘চণ্ডীগড়ের পুরভোট আম আদমি পার্টির এই জয় পঞ্জাবে পরিবর্তনের ইঙ্গিত।’
২০১৬ সালের পুরভোটে চণ্ডীগড়ের ২৬টি ওয়ার্ডে শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল বিজেপি। পদ্মশিবিরের ঝুলিতে ২০টি ওয়ার্ড। সহযোগী শিরোমণি অকালি দল জিতেছিল ১টিতে। কংগ্রেস ৪ এবং নির্দল প্রার্থী ১টি আসনে জয় পেয়েছিলেন। এ বার প্রথম লড়তে নেমেই একক বৃহত্তম দল হয়ে গিয়েছে আপ। ভোট এবং আসন বেড়েছে কংগ্রেসেরও।
ভোটের হিসেবে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা পুরসভা দখল করতে পারবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, কেন্দ্রশাসিত ওই অঞ্চলে ৩৫টি ওয়ার্ডে সরাসরি ভোট হলেও লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোনীত আসন রয়েছে ১০টি। সে ক্ষেত্রে দল ভাঙার রাজনীতিতে ভর করে পদ্ম-শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছে পৌঁছে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
তবে পঞ্চাবে বিধানসভা ভোটের আগে এই জয় কেজরীবালের দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপ নেতা রাঘব চড্ডা চণ্ডীগড়ের ফলে খুশি প্রকাশ করে বলেন, ‘‘অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সুশাসনের মডেলে আস্থা রেখেছেন মানুষ।’’ প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকটি জনমত সমীক্ষায় ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে পঞ্জাব বিধানসভায় একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে আপ।