ফাইল চিত্র।
সিআইডির আইনের জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের মামলায় সিআইডি এযাবৎ যে পদক্ষেপ করছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাই কোর্টের বিচাপতি প্রশ্ন করেছেন সিআইডি কি আইন জানে না?
হাওড়ায় পাঁচলায় তিন ঝাড়খণ্ড বিধায়কের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। ওই ঘটনায় কলকাতাতেই টাকার হাতবদলের প্রমাণও পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। যার সূত্র ধরে দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডে অভিযান চালায় সিআইডি। কিন্তু মামলাটি বিচারের জন্য তোলা হয় নিম্ন আদালতে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে। আদালত রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জানতে চেয়েছে, এতদিন এই মামলার শুনানি নিম্ন আদালতে কেন হয়েছে?
আদালত এ-ও জানতে চেয়েছে যে, নিম্ন আদালত বিধায়কদের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশই বা দিল কী করে?
বুধবার এ ব্যাপারে সিআইডির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেন,"দুর্নীতিদমন আইনে মামলা হয়েছে। এই আইন বিশেষ আদালত আছে । সেখানে না হয়ে শুনানি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হচ্ছে কেন?" একই সঙ্গে আদালতের নিদান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এক্তিয়ারই নেই এই মামলা শোনার।
বিচারপতি এব্যাপারে সিআইডিকেই ভর্ৎসনা করে জিজ্ঞাসা করেন, চিফ জুডসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাস থেকে দু-দুবার কী ভাবে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিল সিআইডি? তাঁরা কি আইন জানেন না?
বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড বিধায়কের মামলাটির শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্করের একক বেঞ্চে। তবে শুক্রবার সেটি ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে। কারণ সিআইডির গোয়েন্দারা ঝাড়খণ্ড বিধায়কদের মামলায় নতুন ধারা যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছে। ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৪৬৭ ধারা যুক্ত করতে চেয়ে ওই আবেদন করে সিআইডি। জালিয়াতির এই ধারা জুরলে অভিযুক্তদের ১০ বছর পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে। সাত বছরের অধিক শাস্তি হলে তার বিচার আর একক বেঞ্চে হওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে নতুন ধারা যুক্ত হলে তার শুনানি একক বেঞ্চের বদলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে হতে পারে। শুক্রবারই মামলাটি শুনতে পারে ডিভিশন বেঞ্চ।