প্রতীকি ছবি।
দুর্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে গেলে নতুন জামা, জুতো পরলেই শুধু হবে না। সঙ্গে থাকা চাই করোনা টিকার শংসাপত্র। কারণ, যে বিধিনিষেধ আরোপ হতে চলেছে তাতে এ বার পুজোয় মণ্ডপে ঢোকা থেকে, অঞ্জলি দেওয়া কিংবা সিঁদুর খেলায় অংশ নিতে গেলে চাই টিকার শংসাপত্র। যার পোশাকি নাম কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট (সিভিসি)।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে দুর্গাপুজোর বিধিনিষেধ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানির পরেই আদালত নয়া নির্দেশিকা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দু’টি টিকা এবং মাস্ক পরা থাকলে পুজোর যে কোনও কাজে অংশগ্রহণ করা যাবে। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এ বার বড় মণ্ডপে একসঙ্গে সর্বাধিক ৪৫ জন এবং ছোট মণ্ডপে ১০ থেকে ১৫ জন দর্শনার্থী ঢুকতে পারবেন।
মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও পুজোর আগেই যাঁদের দু’টি টিকা নেওয়া হয়ে যাবে তাঁরাই পুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন। তাই দর্শনার্থীদের কাছে করোনা টিকা নেওয়ার শংসাপত্র থাকাটা জরুরি। শুধু পুজোর জন্যই নয়, বেড়াতে গেলে হোটেলেও দেখাতে হচ্ছে টিকার শংসাপত্র। পদ্ধতি জানা থাকলে সেই শংসাপত্র জোগাড় করা মোটেও কঠিন কিছু নয়। তবে বিদেশে যেতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি কো-উইন অ্যাপে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পাসপোর্ট নম্বর রেজিস্ট্রেশন করে নেওয়া দরকার।
ভারতের মধ্যে যে শংসাপত্র চালু রয়েছে সেটি যে কোনও সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে কম্পিউটার থেকে বের করে নেওয়া যায়। আবার মোবাইল ফোনেও শংসাপত্র ডাউনলোড করা যায়। সেটি মুদ্রিত ভাবে নিজের কাছে রাখা যেতে পারে। আবার প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে থাকা ডিজিটাল শংসাপত্রও দেখানো যেতে পারে। তবে পুজোর ভিড়ে ছাপানো শংসাপত্র সঙ্গে রাখাই ভাল। যাঁদের মোবাইলে কো-উইন অ্যাপ রয়েছে তাঁদের তো কোনও সমস্যাই নেই। সেখানে গেলেই ‘ভেরিফাই সার্টিফিকেট’ অপশন পাওয়া যায়। আবার গুগল ক্রোমে ‘কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট’ লিখেও সরাসরি কো-উইন ওয়েবসাইটের ওই পাতায় চলে যাওয়া যায়।
একবার পাতাটি খুলে গেলেই বাকিটা একেবারেই সহজ। টিকা নেওয়ার সময়ে রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল নম্বরটি দিলে একটি ওটিপি আসবে। সেটা দু’মিনিটের মধ্যে ব্যবহার করার পরেই চলে আসবে ডাউলোডের সুযোগ। আর কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মাই গভ’ ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে গেলে মোবাইলের পাশাপাশি টিকা নেওয়ার সময় পাওয়া বেনিফিসিয়ারি নম্বরও দিতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ‘ডিজিলকার’ অ্যাপের মাধ্যমেও শংসাপত্র ডাউনলোড এবং সংরক্ষণের সুযোগ রয়েছে।