প্রথমে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ, তারপর চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদন এবং তারও পরে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজিতে করোনা হানার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সম্প্রতি রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা লাফ দিয়ে বেড়ে যাওয়ার সঙ্গেই চোখে পড়েছিল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণের খবর। সোমবার জানা গেল, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী-সহ মোট ৬১ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার কোভিড পজিটিভের যে তালিকা হাসপাতালে পৌঁছেছে, তাতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী মিলিয়ে মোট ৬১ জন আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ, তারপর চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদন এবং তারও পরে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজিতে করোনা হানার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।
রবিবারই জানা গিয়েছিল, চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদনে ২৪ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সংখ্যাটাই সন্ধ্যায় বেড়ে ৩৬ হয়ে যায়। এই ৩৬ জনের মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন ২৪ জন। মেডিক্যাল অফিসার ৪ জন। সিনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন ২ জন। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ২ জন। এ ছাড়াও ৩ জন নার্সিং স্টাফ ও ১ জন অফিস স্টাফ এই মুহূর্তে কোভিড পজিটিভ। তারও আগে জানা গিয়েছিল, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে বহু চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন। এর পর প্রকাশ্যে এল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের এই খবর।
একের পর এক হাসপাতালের চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় সংক্রমিত হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। ভার্চুয়াল মাধ্যমে জরুরি বৈঠকে বসেছেন দফতরের কর্তারা। চলতি সপ্তাহে সোমবার রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৪৩৯। রবিবার তা বেড়ে ছাড়িয়ে গিয়েছে ছ’হাজারের গণ্ডি। অর্থাৎ, বিগত ছয় দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে রাজ্যে। শুধু কলকাতাতেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল তিন হাজার। পাল্লা দিয়ে অস্বাভাবিক হারে সংক্রমণ বাড়ছে মহানগরী সংলগ্ন হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। শুধু তাই নয়, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হারও পৌঁছে গিয়েছে ১৬ শতাংশের একেবারে দোরগোড়ায়। সোমবার তা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা। এর মধ্যে শহরের একের পর এক হাসপাতালে করোনার হানায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকমহল।