দুর্দশা: বেহাল কুশমণ্ডির ঢাকঢোল স্কুলে যাওয়ার রাস্তা। প্রতিবাদে রাস্তায় ধান রোপণ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র
মাত্র আটটি জায়গায় সমস্যা থাকায় ডালখোলা থেকে বারাসত পর্যন্ত ৪১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ককে ৬ লেন তৈরির কাজ ১১ বছরেও সম্পূর্ণ হল না। রায়গঞ্জ, মালদহ থেকে কলকাতা আসতে ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগছে। নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ। জেলার মন্ত্রী, আমলা, বিধায়কেরা সব দেখেও সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছেন না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
জাতীয় সড়ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোথাও জমি পেলেও দখলদার উঠছে না, কোথাও জমির ক্ষতিপূরণ নিয়ে মামলা, আবার জমি না পাওয়ায় কোথাও কাজ থমকে।
ফলে ২০০৮ সালে এই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ৬ লেন তৈরির কাজ শুরু হলেও এখনও তা শেষ হল না। ডালখোলা, সুজাপুর, বল্লারপুর, বহরমপুর বাইপাস, সারগাছি, রেজিনগর, জাগুলি থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত এই আটটি জায়গায় রাস্তা ছ’লেনের করা যাচ্ছে না।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘ডালখোলায় ছ’ কিলোমিটার জায়গায় জমি জট ছিল। সেই জট কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। জমি দেওয়া হয়েছে জাতীয় সড়ক কতৃর্পক্ষকে। বর্ষার পরে কাজ শুরু হবে। আমরা চাই দ্রুত কাজ রাস্তার শেষ করা হোক।’’
বহরমপুর বাইপাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহরের মধ্যে দিয়ে যান চলাচল করায় নিত্য দিন বহরমপুর শহরে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে হয় মানুষকে। সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শহরের নাজেহাল অবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না। ফল ভুগতে হচ্ছে মানুষকে।’’
নদিয়ার একটা বিরাট অংশে রাস্তার কাজ আটকে রয়েছে। জেলার মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘‘জেলায় ১২২ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ বাকি রয়েছে। জমি সমস্যা ছিল, আমরা মিটিয়ে দিয়েছি। জাগুলি থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত কাজ বাকি। কাজ শুরু করলে রাস্তার পাশের দখলদাররা সরে যাবে। কিন্তু কাজ করছে না সড়ক কতৃর্পক্ষ। কাজ বন্ধ রাখার জন্য ওই ঠিকাদার সংস্থাকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কাজ শেষ করার।’’