Calcutta High Court

Rakhal Bera Case: রাখাল বেরাকে ফের গ্রেফতার করে বিপাকে রাজ্য! জবাব তলব করল ডিভিশন বেঞ্চ

অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাখালকে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের পরেও কী ভাবে রাখালকে গ্রেফতার করা হল সেই প্রশ্ন তুলল ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২১ ১৫:৫৬
Share:

রাখাল বেরা ফাইল চিত্র।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই জামিনের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তার মধ্যেই ফের অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করা হল রাখালকে। আদালতের নির্দেশের পরেও কী ভাবে রাখালকে গ্রেফতার করা হল সেই প্রশ্ন তুলল ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছেন বিচারপতিরা।

Advertisement

মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন রাখালের ছেলে তাঁর আইনজীবীকে জানান, ১৫ জুন তমলুকের একটি মামলায় ফের গ্রেফতার করা হয়েছে রাখালকে। আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় সেই কথা বিচারপতিদের জানান। তার পরেই আদালত প্রশ্ন তোলে, সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল গ্রেফতার করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তা হলে সেই নির্দেশ মানা হয়নি কেন। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ আরও প্রশ্ন করে, যখন ডিভিশন বেঞ্চ মামলা শুনছে, তার মধ্যেই কী ভাবে ফের গ্রেফতার করা হল? এত দ্রুততা কীসের? কোন অফিসার রাখালকে গ্রেফতার করেছেন তাঁর নামও জানতে চায় আদালত।

আদালতের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘সোমবার সকাল ১১টার সময় নিম্ন আদালত রাখালকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরে হাই কোর্ট জামিনের নির্দেশ দেয়।’’ এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, নিম্ন আদালতের কথা সোমবার কেন হাই কোর্টকে জানানো হয়নি? পুলিশ কেন লুকোচুরি খেলছে? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানেনই না, রাখালকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে বুধবার সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

এই মামলায় রাজ্যের তরফে সওয়াল করছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তিনি বুধবার শুনানিতে থাকবেন কি না সেই প্রশ্ন করা বলে তিনি বিচারপতিদের বলেন, ‘‘আমার আর কিছু বলার নেই। এই বিষয়গুলি আমার জানা ছিল না।’’

এই প্রসঙ্গে রাখালের আইনজীবী বলেন, ‘‘সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ রাখালের জামিনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তড়িঘড়ি সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য। তার মধ্যেই আমরা জানতে পারি ১৫ জুনের একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাখালকে। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন এই গ্রেফতারি সংক্রান্ত সব তথ্য ও নথি আদালতে পেশ করতে হবে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে রাখালকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement