শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে তল্লাশি নিয়ে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে পুলিশি অভিযান নিয়ে এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে-র কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। একই সঙ্গে আদালত জানায়, হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া আগামিদিনে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। পাশাপাশি, ওই অভিযান নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে উচ্চ আদালত।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১৪ জুন ওই পুলিশি অভিযান নিয়ে হলফনামা দিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে। একই সঙ্গে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘পুলিশ কি আইন জানে না? না কি আইন জেনেও এক জন বিরোধী দলনেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাল? এটা দুর্ভাগ্যজনক!’’
অভিযোগ, দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর দফতরে পুলিশ গিয়েছিল। তমলুক থানা থেকে বাহিনী যায় শুভেন্দুর ওই দফতরে। শুভেন্দুর অভিযোগ, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালায়। এ ছাড়া বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রে যে যে নিয়ম মানা উচিত ছিল, পুলিশ তা মানেনি। এ নিয়েই আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।
যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের বক্তব্য, শুভেন্দুর নির্বাচনী এজেন্ট মেঘনাদ পালের স্ত্রী সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি করতে ভুয়ো নথি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে তমলুক থানায় মামলা দায়ের হয়। তদন্তের স্বার্থে মেঘনাদ এবং তাঁর স্ত্রীর সন্ধানে শুভেন্দুর দফতরে পুলিশ গিয়েছিল বলে তাঁর দাবি।