সেপ্টেম্বর মাসে এক পরীক্ষার্থী নম্বর ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
মেধা তালিকা না পেলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর সচিবকে জেলে পোরা হবে। এসএসসি-র মেধাতালিকা প্রকাশ নিয়ে মামলায় এসএসসির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার
সোমবার এসএসসি-র নম্বর ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশের মামলার শুনানি ছিল। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে মনিকা রায় নামে এক পরীক্ষার্থী নম্বর ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর সঙ্গে ওই মামলায় আবেদন জানান আরও কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। তাঁরা আদালতকে জানিয়েছিলেন, নিজের নামের আগে বা পরে কোনও পরীক্ষার্থীর নম্বর দেখা যাচ্ছে না মেধা তালিকায়। তাঁরা কার্যত মেধাতালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারপার্সন এবং সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই তালিকা আদালতে জমা পড়েনি। ইতিমধ্যে আদালত নোটিস ইস্যু করে এসএসসি-র চেয়ারম্যান ও সচিবকে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল ঘিরে ফের অভিযোগ বিজেপি-র
কিন্তু তার পরেও তাঁরা কেউ আদালতে হাজিরাদেননি। জানুয়ারির ১৮ তারিখ এসএসসি-র তরফে ওই নীরবতা এবং অনুপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ বিচারপতি আদালত অবমাননার সমান বলে মনে করে রুলিং জারি করেন।
এ দিন সেই শুনানির সময় এসএসসি-র সচিব উপস্থিত ছিলেন। কারণ মামলা শুরু হওয়ার সময় যিনি চেয়ার পার্সন ছিলেন তিনি এখন আর ওই পদে নেই। তাই সচিব এসএসসি-রপ্রতিনিধিত্ব করেন। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এসএসসি কি ওই নম্বর ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে? সচিব জবাবে জানান যে, তাঁরা সেই তালিকা প্রকাশ করেছেন। কিন্ত তার সপক্ষে যে নথি তিনি আদালতকে দেন তা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি সচিবকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন, “আপনি কি আদালতকে ভুল পথে পরিচালিত করতে চেষ্টা করছেন?”
আরও পড়ুন: গোপন জবানবন্দি দেবেন শ্রীকান্ত মোহতা? জল্পনা তুঙ্গে
কারণ, কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে যে নথি জমা দেওয়া হয় সেখানে মেধাতালিকা ছিল না। আবেদনকারীর আইনজীবী আশিস চৌধুরী বলেন, “এসএসসির নিয়ম অনুযায়ী ১২(২এফ) ধারাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে তিনটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। সাক্ষাৎকারে নির্বাচিতদের তালিকা, মেধা তালিকা এবং শেষে যাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে তাঁদের তালিকা।” তাঁর অভিযোগ, এখানে দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটি টপকে তৃতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ দিন সচিবকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি নির্দেশ দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই নম্বর ভিত্তিক তালিকা এসএসসি-র সচিবকে হলফনামার সঙ্গে আদালতে জমা দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘তালিকা না পেলে সচিবকে জেলে ভরা হবে।’’
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরপেতে চোখ রাখুন আমাদেররাজ্যবিভাগে।)