কারণ হিসাবে বিচারপতি যুক্তি দিয়েছেন, যে হেতু সোমা রক্তের ক্যানসারের মতো অসুখে ভুগছেন, তাঁর চিকিৎসায় খরচ প্রচুর। সেই খরচ মেটাতে তাঁর অর্থের প্রয়োজন। তিনি যাতে তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য শিক্ষা দফতরকে এই আবেদন জানিয়েছেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল ছবি
ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) চাকরিপ্রার্থী সোমা দাস প্রায় শুরু থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গত ১১ মাস ধরে শহিদ মিনারে যে আন্দোলন চলছে তার সঙ্গে তিনি সক্রিয় ভাবে যুক্ত। সেই সোমার চিকিৎসার খরচ এবং চাকরি দেওয়ার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে অনুরোধ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এর কারণ হিসাবে বিচারপতি যুক্তি দিয়েছেন, যে হেতু সোমা রক্তের ক্যানসারের মতো অসুখে ভুগছেন, তাঁর চিকিৎসায় খরচ প্রচুর। সেই খরচ মেটাতে তাঁর অর্থের প্রয়োজন। তিনি যাতে তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন, তার জন্য শিক্ষা দফতরকে এই আবেদন জানিয়েছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে তিনি সোমাকে চাকরি দেওয়ারও অনুরোধ করেন। তবে বিচারপতি একে পরামর্শ হিসাবে নিতে বলেছেন, বাধ্যতামূলক কোনও বিষয় নয়।
শুনানিতে এসএসসি আন্দোলনকারী বলেন, ২০১৯ সালে যখন তাঁরা আন্দোলন করছিলেন সেই সময় ২৮ মার্চ তাঁদের অনশন মঞ্চে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দেন আন্দোলনকারীদের নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করা হবে। ১০ জনের এই প্যানেলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ জন থাকবেন এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে পাঁচ জন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, প্যানেল তৈরি হয় বটে কিন্তু সেই প্যানেলে আন্দোলকারীদের যে পাঁচ জন ছিলেন শুধু তাঁদের চাকরি হয়।
সোমা আদালতে বলেন, ‘‘আমার চিকিৎসার জন্য ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু টাকা পাব কোথা থেকে?’’
এর পর বিচারপতি বলেন, মানবতার খাতিরে ওঁনার চিকিৎসার খরচ পাওয়া উচিত। না হলে উনি চিকিৎসার খরচ পাবেন কোথা থেকে। এর সঙ্গে তাঁর যদি একটি চাকরি ব্যবস্থা করা যায় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে তারও অনুরোধ করেন বিচারপতি।
বিচারপতি স্বতঃপ্রণোদিত মামলাটি খারিজ করে দেন। সোমা দাসকে ফের আদালতের কাছে আবেদন করতে বলেন। আগামী ১৭ মে সেই মামলার শুনানি হবে।