শনিবারই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’।
তাপমাত্রা কমছে। কিন্তু কার্তিক মাসের ১৮ তারিখ হয়ে গেলেও হাড় কাঁপানো শীতের দেখা নেই। উল্টে এ সপ্তাহের শেষে ওড়িশা এবং রাজ্যের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা হয়েছে। এমনই আশঙ্কার কথা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
উত্তর আন্দামান সাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর জুড়ে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ তা ঘূর্ণিঝড়ে আকার নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শেষ পর্যন্ত নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণঝড়ে পরিণত হলে, তার নাম হবে বুলবুল।
এ রাজ্যে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শীতের প্রবেশ ঘটেনি। এখনও কলকাতার সর্বচ্চ তাপমাত্র ঘোরাফেরা করছে ৩১-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকূটিতে কপালে ভাঁজ রাজ্যবাসীর। আপাতত নিম্নচাপের অভিমুখটি রয়েছে ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে। তবে নিম্নচাপটি কতটা শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণঝড়ে আকার নেবে, তা শুক্রবারের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আগামী শনিবার ওড়িশা এবং এ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে। তার জেরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ উপকূলের জেলাগুলিতে।
আরও পড়ুন:দিল্লিতে বিক্ষোভে পরিবার-সহ পুলিশকর্মীরা, আন্দোলন সদর দফতর থেকে ছড়াল ইন্ডিয়া গেটেও
আরও পড়ুন:বেতন বাড়ছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। গতিবেগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টায় উত্তাল হয়ে ওঠবে দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপ সাগর। শুক্রবার এবং শনিবার আরও উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, “নিম্নচাপটি ঘূর্ণঝড়ের আকার নিয়ে ওড়িশা এবং এ রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণঝড়ে পরিণত হলে নাম হবে বুলবুল। তবে আগামী দু’তিন দিন আবহওয়া একই রকম থাকবে।”