Rain North Bengal

বর্ষণে নাকাল উত্তর, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কম

সেচ দফতরের একটি সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক দফা প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বেড়েছে। তার উপরে আবার প্রবল বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। বন্যা পরিস্থিতি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০৪:৪২
Share:

ফাইল চিত্র।

সূচনা থেকেই মৌসুমি বায়ু এ বার চালিয়ে খেলতে শুরু করায় বর্ষণ নিয়ে চিন্তা নেই বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু এক মাস পরেই দেখা যাচ্ছে, বাংলার উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে ছবিটা দু’রকম হয়ে গিয়েছে। অতিবৃষ্টির ঠেলায় উত্তরবঙ্গ নাজেহাল। কিন্তু গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টির তেমন দাপট নেই।

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে ফের প্রবল বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। পাহাড় ও তরাইয়ের জেলাগুলির কোথাও কোথাও অতি প্রবল থেকে অতিমাত্রায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে দুই দিনাজপুরেও। কাল, মঙ্গলবার পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলবে।

সেচ দফতরের একটি সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক দফা প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বেড়েছে। তার উপরে আবার প্রবল বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। বন্যা পরিস্থিতি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

Advertisement

এ বছর জুনের শুরু থেকে গাঙ্গেয় বঙ্গে জোরালো বর্ষণ হয়েছে। কিন্তু জুলাইয়ে বর্ষার মেজাজ কিছুটা দুর্বল। চলতি মাসে এ-পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি এতটাই কম হয়েছে যে, মৌসম ভবনের তথ্য বলছে, ১ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত হিসেবে গাঙ্গেয় বঙ্গে ৯% বর্ষার ঘাটতি পড়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গে অবশ্য স্বাভাবিকের থেকে ৪৩ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। বর্ষণে এই ফারাক কেন? আবহবিদদের বক্তব্য, এমনিতেই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বেশি হয়। তার উপরে বর্ষার শক্তি
নিয়ন্ত্রণকারী মৌসুমি অক্ষরেখা বার বার হিমালয়ের পাদদেশে থিতু হচ্ছে। তার ফলেই এমন পরিস্থিতি। ওই অক্ষরেখা এখন রাজস্থান থেকে উত্তর ভারত হয়ে শান্তিনিকেতনের উপর দিয়ে তরাই দিয়ে ত্রিপুরা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই জন্যই ফের উত্তরবঙ্গে জোরালো বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

আবহবিদেরা জানান, মৌসুমি অক্ষরেখা কখনওই এক জায়গায় থিতু হয় না। যে-এলাকার উপরে অক্ষরেখা সক্রিয় থাকে, সেখানেই বর্ষণের দাপট বাড়ে। তরাইয়ের ক্ষেত্রে অক্ষরেখা সক্রিয় থাকলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। পর্যাপ্ত বর্ষণ কৃষিকাজের উপযোগী ঠিকই। কিন্তু অতিবর্ষণ বন্যার বিপদ ডেকে আনতে পারে।

হেরফেরের কারণ কী

• মৌসুমি অক্ষরেখা তরাইয়ের উপর দিয়ে ত্রিপুরা পর্যন্ত বিস্তৃত। সে জোলো হাওয়া উত্তরে টেনে নিচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ হলেও টানা বর্ষার বৃষ্টি হচ্ছে না।

চিন্তার কারণ

• দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। কোথাও কোথাও অতিপ্রবল বৃষ্টি।

• ভারী বৃষ্টি দুই দিনাজপুরে

• আগের দফার জোরালো বৃষ্টিতে নদীগুলিতে জলস্তর বৃদ্ধি

• ফের অতিবৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা

আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে গাঙ্গেয় বঙ্গেও। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement