জল জমে গিয়েছে বিধান সরণিতে। নিজস্ব চিত্র।
আরও একটা ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপরে। এটা নিম্নচাপে পরিণত হলে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাত হবে। শুক্রবার সন্ধে থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। শনিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রবল বৃষ্টিতে শহরের বেশ কিছু জায়গায় জল জমে যায়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, কলেজ স্ট্রিটে জল জমে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। একই ছবি দক্ষিণ কলকাতাতেও।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যে সব জায়গায় জল জমেছে সেখানে পাম্পিং মেশিনের সাহায্যে দ্রুত জল নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও জনান, দক্ষিণ কলকাতায় ১১-২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকে। অন্য দিকে, উত্তর কলকাতায় এর পরিমাণ গড়ে ৭৫ মিলিমিটার। জল জমে বেহালা-সহ গোটা দক্ষিণ কলকাতায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জল জমার কারণে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে শ্যামবাজার ও ধর্মতলার দিকে গাড়ি চলাচল প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। মহাত্মা গাঁধী রোডেও গাড়ি খুব ধীরে চলাচল করছে।
উল্টোডাঙা আন্ডারপাস।
কলকাতার পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গেও।
গত মাসেই মায়ানমারে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপের ধাক্কায় টানা দেড় দিন বৃষ্টিতে নাজেহাল হয়েছিল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। সেই নিম্নচাপ সরাসরি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে না ঢুকলেও তার লেজের দাপটে দেড় দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলা। তার উপর বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়। ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি তাই চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যবাসীকে।
আরও খবর...