দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফাইল চিত্র।
পূর্বাভাস মতোই বুধবার বিকেলে তুমুল ঝড়বৃষ্টি হল বীরভূমে। সিউড়ি, বোলপুর-সহ একাধিক এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টির সাক্ষীও থেকেছে বোলপুর।
বীরভূমের একাধিক এলাকায় বুধবার বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। যদিও ৩০ মিনিটের বেশি দুর্যোগ স্থায়ী হয়নি। তবে তাতেই কালবৈশাখীর দাপট টের পেয়েছেন সাধারণ মানুষ।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আগামী পাঁচ দিন ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে বর্ষার কিছুটা অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও কিছুটা অনুকূল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতে পারে। এই পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছে হাওয়া অফিস।
কেরলে বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন জুন মাসের ১ তারিখ। এ বছর তাতে সামান্য দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। কেরলে বর্ষা ঢুকতে পারে ৪ জুন। তবে তার সঙ্গে বাংলায় বর্ষার কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলায় আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রার খুব একটি পরিবর্তন হবে না।
কলকাতায় আপাতত কিছু দিন গরমের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অনুভূত হবে বলে মত হাওয়া অফিসের। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ঘাম হবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির মতো কলকাতাতেও বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।